‘ধর্ম মানুষের হৃদয়ে পরিশুদ্ধতার আলো জ্বালায়’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চসিক মেয়র পদপ্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ধর্ম মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে আর ধর্মীয় জ্ঞান মানুষের হৃদয়ে পরিশুদ্ধতার আলো জ্বালিয়ে দেয়। অনৈতিক কাজ, পরনিন্দা, জীবহত্যা, হিংসাসহ যেকোন পাপকাজ থেকে ধর্মই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। পশুর ঘরে জন্মগ্রহণ করলে তার পরিচয় হয় পশু, কিন্তু মানুষের ঘরে জন্মগ্রহণ করে যদি মনুষত্ব জাগ্রত না হয়- তাহলে তাকে মানুষ বলা যায় না। আর মানুষের মধ্যে মনুষত্ব জাগায় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। মহামতী গৌতমবুদ্ধ সকলকে হিংসা থেকে বেরিয়ে এসে অহিংসার বাণী শুনাতে বলেছেন এবং তিনি নিজেও অহিংসার বাণী প্রচার করেছেন। তাই সকল ধর্মের মানুষকে এক হয়ে সমাজ, পাড়া, মহল্লা ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
শনিবার নগরীর চান্দগাঁও সার্বজনীন আনন্দ বিহার পরিচালনা কমিটি আয়োজিত দানোত্তম কঠির চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সকল ধর্মের মানুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। একটি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা সবাই যুদ্ধ করেছি। যেন ধর্ম ও জাতির কোন ভেদাভেদ বাংলাদেশে না থাকে সেই স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। যার যার ধর্মীয় রীতিনীতি অবশ্যই স্বাধীনভাবে সে পালন করবে। এটাই অসাম্প্রদায়িক চেতনার এই বাংলাদেশে সকল মানুষের চাওয়া। আর ধর্মীয় পরিচয়ের পরে আমাদের মূল পরিচয় আমরা বাংলাদেশি, আমরা বাঙালি।
তিনি বলেন, মানুষের জন্য মানুষের কাজ করতে হবে। মানুষের বিপদে-আপদে মানুষের পাশে থাকাই মনুষত্ব। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আপনারা আমাকে সবসময় পাশে পাবেন। এই নগরীকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে এসময় সকলের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চান রেজাউল করিম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার ভারপ্রাপ্ত সংঘনায়ক ও চান্দগাঁও সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ অগগমহাপন্ডিত অধ্যাপক বনশ্রী মহাথেরো। প্রধান ধর্মদেশক এর বক্তব্য রাখেন বিদর্শনাচার্য্য ভদন্ত নন্দবংশ মহাথেরো। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাবু ভুলন বড়ুয়া ও প্রধান জ্ঞাতি ছিলেন শ্রীমতি মানু বড়ুয়া।অনুষ্ঠানে আরো ধর্মদেশনা করেন ভদন্ত জ্ঞানবংশ মহাথেরো, বিদর্শনাচার্য্য আর্য্যশ্রী থেরো, ভদন্ত রত্নপ্রিয় থেরো, ভদন্দ সংঘশ্রী থেরো, ভদন্ত তণহংকার ভিক্ষু, ভদন্ত দেবমিত্র ভিক্ষু ও ভদন্ত প্রজ্ঞালংকার ভিক্ষু প্রমুখ। (ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/এলএ)