আটিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে মির্জাপুরে মানববন্ধন

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আটিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে পাহাড়ি অঞ্চলের দুই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নে গোড়াই-সখিপুর সড়কের খলিলুর রহমান কলেজের সামনে বাঁশতৈল ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
ভিটে মাটি রক্ষার দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বাঁশতেল ইউনিয়নের গায়রাবেতিল, বালিয়াজান, মোতারচালা, আজগানা ইউনিয়নের তেলিনা, চিতেশ্বরী, বেলতৈলসহ কয়েকটি গ্রামের দুই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ গোড়াই-সখিপুর সড়ক অবরোধ করে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালন করেন।
মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেয়া বাশতৈল নয়াপাড়া গ্রামের নব্বই বছর বয়সী মজিবুর রহমান, গায়রাবেতিল গ্রামের পচাত্তর বছর বয়সী জসিম দেয়ান একই গ্রামের গফুর সিকদার, তেলিনা গ্রামের সত্তর বছর বয়সী আফতাব ভানু ও তার পুত্র বধু সাজিনা বেগম জানান, আটিয়া অধ্যাদেশের কথা বলে তিন পুরুষের ভিটি বাড়ি উচ্ছেদের জন্য বন বিভাগের লোকজন হুমকি দিচ্ছে। তারা এই কালো আইন বাতিলের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।
টাঙ্গাইল জেলা বন কর্মকর্তা ড. জহিরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আটিয়া বন অধ্যাদেশ আওতার বাইরে কোন ঘর বাড়ি উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হয়নি। তবে এই অধ্যাদেশের আওতাভুক্ত সব জমিই বন বিভাগের বলে তিনি জানান।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯২০ সালে সেটেলমেন্ট রেকর্ডভুক্ত হওয়ার পর তৎকালীন সরকার ১৯২৭-২৮ সালের গেজেট মূলে জেলার মির্জাপুর, সখিপুর, মধুপুরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলার হাজার হাজার একর ভূমি বন বিভাগের কাছে ন্যস্ত করে। ১৯৮২ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার আটিয়া অধ্যাদেশ জারি করে বসতবাড়িসহ ১৯৬২ সালের রেকর্ডভুক্ত জমিও এই অধ্যাদেশের অন্তর্ভুক্ত করে। এই অধ্যাদেশের আওতায় বর্তমানে প্রায় ৪৫ হাজার একর ভূমি রয়েছে বলে জানা গেছে। অধ্যাদেশের ফলে এসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাপ-দাদার ভিটে বাড়ির মালিকানাও হারাতে বসেছে। বনবিভাগের লোকজন তাদের নামে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানিসহ ঘরবাড়ি উচ্ছেদের জন্য নোটিশও দেয়।
(ঢাকাটাটাইমস/৩১ডিসেম্বর/এলএ)

মন্তব্য করুন