গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯৪ ফিলিস্তিনি নিহত, মোট নিহত ৬০ হাজার ৯৩৩

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলায় আবারও রক্তাক্ত হলো ফিলিস্তিন। সোমবার (৪ আগস্ট) একদিনেই অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৪৩৯ জন। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা অভিযানে মোট প্রাণহানি দাঁড়াল ৬০ হাজার ৯৩৩ জনে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ৫০ হাজার ২৭ জনে। তাদের অনেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না—কারণ, হামলায় ধ্বংস হয়েছে অধিকাংশ হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্র।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ত্রাণ বিতরণের সময়ও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার গাজার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০০ জন।
দখলদার বাহিনীর লাগাতার বোমাবর্ষণে বহু ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনীয় উদ্ধার সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত উদ্ধারকর্মী না থাকায় তাদের জীবিত বা মৃত উদ্ধার করাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের ভেতরে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে প্রায় ১,২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরই জবাবে গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল। অভিযানে শিশু, নারী, বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাননি।
চলমান হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। কিন্তু মাত্র দুই মাসের মাথায় গত ১৮ মার্চ থেকে আবারও নতুন করে অভিযান শুরু করে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
এই নতুন দফায় নিহত হয়েছেন আরও ৯ হাজার ৪৪০ জন, আহত হয়েছেন প্রায় ৩৭ হাজার ৯৮৬ জন ফিলিস্তিনি।
অভিযান চালাতে গিয়ে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে বিচার চলছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।
(ঢাকাটাইমস/৫ আগস্ট/আরজেড)

মন্তব্য করুন