প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের জন্য দেহরক্ষী ও বাড়তি ক্ষমতা চায় ইসি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ক্ষমতায়নের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য তাদের সঙ্গে নির্দিষ্ট দেহরক্ষী নিয়োগ, যানবাহনের ব্যবস্থা ও অফিস সহায়ক দেওয়াসহ সাতটি সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. মনির হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এসব সুপারিশ জানিয়ে মাঠপর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৯(১খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেন। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও নিরাপত্তা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন, মাঠে কর্মপরিধি নির্ধারণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ইসি যে সাতটি সুপারিশ করেছে, তা হলো:
১. মালামালসহ কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য যথোপযুক্ত যানবাহনের ব্যবস্থা করা।
২. একজন আনসার/পুলিশ সদস্যকে নির্দিষ্টভাবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত করা।
৩. প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে সহায়তার জন্য একজন অফিস সহায়ক নিয়োগ।
৪. মালামাল ও জনবল যেন একযোগে কেন্দ্রে পৌঁছে এবং অবস্থান করে, তা নিশ্চিত করা।
৫. প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা যেন নিজ ব্যবস্থাপনায় তাদের টিমের খাবারের ব্যবস্থা করেন, তা নিশ্চিত করা।
৬. গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৮৯(ক) অনুসরণে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়নের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া।
৭. মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসার, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ইসি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তা জানিয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মতামত দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/এলএম)

মন্তব্য করুন