নির্মাণকাজে অনিয়মের ছবি তোলায় হামলা-মামলার শিকার সাংবাদিক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ জুন ২০২১, ১৮:২৭
অ- অ+

হবিগঞ্জের বাহুবলের করাঙ্গী নদীর ব্রিজ ও রাস্তা মেরামত কাজে অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের হাতে হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। পরে সাংবাদিককে আটক করে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে মামলা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে করাঙ্গী ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন শুক্রবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

দীর্ঘদিন যাবত সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত ঐতিহ্যবাহী বাহুবল বাজারের প্রধান সড়ক ও করাঙ্গী নদীর ব্রিজ। রাস্তা, ব্রিজ মেরামত ও সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি করাঙ্গী নদীর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ও রাস্তা মেরামতের জন্য প্রায় চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। গত কয়েকদিন ধরে মেরামত কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে প্রায় সময়ই রাতের আধাঁরে কাজ করার ফলে জনসাধারণের চোখে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।

এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রিজের উপর পাকাকরণের কাজ চলা অবস্থায় সংবাদ সংগ্রহ ও ছবি তুলতে যান স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক লোকালয় বার্তার বাহুবল উপজেলা প্রতিনিধি আজিজুল হক সানু। এ সময় তিনি নির্মাণ কাজে নিম্নমানের বালু, বিটুমিনসহ অন্যান্য সামগ্রীর ছবি তুলেন। এতে ক্ষেপে ওঠেন উপজেলা প্রকৌশলী ও তার অফিসের লোকজন। এক পর্যায়ে সাংবাদিক সানুর সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হন তারা। এ অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশে অফিসের লোকজন সানুকে আটক করে বাহুবল মডেল থানায় নিয়ে যায়।

আজিজুল হক সানু থানাতে আটক থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও উপসহকারী প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়।

এ ব্যাপারে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, সরকারি কাজে বাধা ও উপসহকারী প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়। এই মামলায় শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফছার হোসেন খন্দকার বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আমাদের নির্মাণ কাজ চলাকালে বাধা দেন এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলফাজ উদ্দিন এবং ফিল্ড সুপার ভাইজার ইখতিয়ার উদ্দিনকে মারধর করেন। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়ে মামলা করা হয়েছে।’

এদিকে এ ঘটনায় বাহুবলসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে সাংবাদিক আজিজুল হক সানুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন। একইসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলীসহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বাছির বলেন, ‘স্থানীয় একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে মামলা করা বা অন্যান্য বিষয়ে আমি জানি না।’

(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে নতুন নীতিমালা, জানুন কী পরিবর্তন এলো
গুলিস্তানে গাড়িচাপায় ট্রাকের হেলপার নিহত
পুলিশি নিরাপত্তায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করলেন ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ
বনানীতে পথশিশু ধর্ষণ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা