সেফুদার সঙ্গে হেলেনার আর্থিক লেনদেনের তথ্য
আলোচিত নারী নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বিতর্কিত প্রবাসী সেফুদা 'নাতনি' হিসেবে সম্বোধন করতেন। বিভিন্ন সময় সেফুদার সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের আর্থিক লেনদেন পেয়েছে র্যাব।
শুক্রবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের অশ্লীল, অসঙ্গতিপূর্ণ ভিডিওবার্তা ছড়িয়ে বেশ আলোচনায় সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। নানা বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে অল্প সময়ে তারকা বনে যান সেফুদা। প্রথমের দিকে সেফুদা নামটি তার নামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তখন তার ফেসবুক লাইভ দেখার মতো মানুষও ছিল না। তিনি অস্ট্রিয়া প্রবাসী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। ১৯৯০ সাল থেকে তিনি অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় বসবাস করছেন।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, 'হেলেনা অপকৌশলের মাধ্যমে নিজেকে 'মাদার তেরেসা', 'পল্লী মাতা', 'প্রবাসী মাতা, হিসেবে পরিচিতি পেতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘবদ্ধ চক্রটি হেলেনাকে এসব 'ভুয়া খেতাব' নামে ডাকত। এছাড়া বিভিন্ন দেশি/বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তি 'জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন' নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন হেলেনা। যা মানবিক সহায়তায় ব্যবহারের চেয়ে খেতাব প্রচার-প্রচারণায় বেশি ব্যবহার করা হতো। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নিজের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন। তার প্রায় ১২ ক্লাবের সদস্যপদ রয়েছে।
কমান্ডার মঈন বলেন, 'আমাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলেনা জাহাঙ্গীর তার একটি উচ্চাবিলাসী উদ্দেশ্য রয়েছে। যা বাস্তবায়ন করতে তিনি নানাবিধ অবৈধ পন্থা, অপকৌশল ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি তার এজেন্ডা বাস্তবায়নে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। যারা অর্থের বিনিময়ে বা অবৈধ সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে এহেন অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় রয়েছে।'
(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/এসএস/জেবি)