কুমার বিশ্বজিতের বাণীই সত্যি হচ্ছে পড়শীর জীবনে

এক যুগ আগে, ২০০৮ সালে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত ‘ক্ষুদে গানরাজ’ রিয়্যালিটি শো-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সংগীত জগতে পরিচিতি পেয়েছিলেন সাবরিনা এহসান পড়শী। ওই প্রতিযোগিতায় তিনি দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছিলেন।
একই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া জুয়েল এবং প্রথম রানারআপ ঝুমা তাদের ক্যারিয়ারের দৌঁড়ে হোচট খেয়ে হারিয়ে গেলেও নিজেকে বহু আগেই প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন পড়শী। এখন তাকে এক নামে সারা দেশের সংগীতপ্রেমীরা চেনেন।
সময়ের ব্যবধানে ‘ক্ষুদে গানরাজ’ প্রতিযোগী সেই পড়শী এবার বিচারকের আসনে। ১২ বছর আগে তিনি দেশের নামকরা শিল্পীদের সামনে গান গেয়ে বাহবা পেয়েছিলেন, আবার কখনো বকা খেয়েছেন, পেয়েছিলেন সংগীত বিষয়ে নানা পরামর্শ। এবার সেই বিচারকের ভূমিকায় তিনি নিজেই বসতে চলেছেন।
খুব শিগগির বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভিতে শুরু হচ্ছে তরুণদের জন্য সংগীত বিষয়ক রিয়্যালিটি শো ‘ইয়াং স্টার’। ‘গলা ছেড়ে গাও’ স্লোগানে আয়োজিত এই শো’তেই জীবনে প্রথমবারের বিচারকের আসন অলংকৃত করবেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পড়শী। এ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি।
গায়িকা বলেন, ‘আমি নিজেও একটি রিয়্যালিটি শো থেকে উঠে এসেছি। আমি তখন মঞ্চে থেকে গান গেয়েছি। এবার বিচারকের আসনে বসে প্রতিযোগীদের গান শুনবো। একজন প্রতিযোগী যখন স্টেজে গান করতে আসেন, তখন তার গানের সঙ্গে স্বপ্ন, ভয়সহ অনেককিছু মাথায় কাজ করে। সেই অভিজ্ঞতা আমিও পার করে এসেছি। তাই আমি চেষ্টা করবো আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রতিযোগীদের তুলে আনার।’
পরশী আরও বলেন, ‘আমাকে একদিন কুমার বিশ্বজিত স্যার বলেছিলেন, ‘তুইও একদিন বিচারক হবি’। এখন স্যারের কথা সত্যি হতে যাচ্ছে। এতে আমি অনেক আনন্দিত। আশা করি আমার সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দিয়ে ভালো কিছু শিল্পীকে উঠিয়ে আনতে পারবো।’
সোহাগ মাসুদের প্রযোজনায় মিউজিক্যাল এই রিয়্যালিটি শো’র রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ১০সেপ্টেম্বর, শুক্রবার থেকে। এখানে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিযোগীদের বয়সসীমা হতে হবে ১২ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
রেজিস্ট্রেশনের জন্য যেকোনো একটি বাংলা গান খালি গলায় অথবা যেকোনো একটি বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে গেয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ‘আরটিভি প্লাস অ্যাপ’ ইন্সস্টল করে ‘রেজিস্ট্রেশন নাউ’ বাটনে ক্লিক করে যথাযথ তথ্য পূরণের মাধ্যমে ভিডিওটি পাঠিয়ে দিতে হবে।
ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/এএইচ

মন্তব্য করুন