ব্যারিস্টার রাশনা ইমামের জন্মদিন

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৫:১০ | প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৪:১৬
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমামের জন্মদিন ২৭ অক্টোবর। তিনি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা এবং সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস বিষয়ক জাতীয় কমিটি’২১-এর সদস্য সচিব।

সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা, আইন পেশায় দক্ষতা ও জনস্বার্থে দায়ের করা মামলার সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে ২০১৯ সালে ‘গ্লোবাল প্রোগাম ফর উইমেনস লিডারশিপে’র ফেলো মনোনীত করা হয়।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সরকার, ব্যবসায়, শিল্প, গণমাধ্যম ও অলাভজনক ক্ষেত্রগুলোতে তরুণ নেতৃত্বদানকারীদের নিয়ে এশিয়া সোসাইটি কর্তৃক নিজস্ব ওয়েবসাইটে ‘এশিয়া ইয়ং লিডার-২০১৮’ এর তালিকা প্রকাশিত হয়। ওই তালিকায় এশিয়ার ৩১ জন তরুণ নেতৃত্বের নাম উঠে আসে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হয়েছিলেন রাশনা ইমাম। বাংলাদেশ থেকে ২০১৮ সালে একমাত্র তিনিই এ গৌরব অর্জন করেছিলেন।

রাশনা ইমামের জন্ম ঢাকায়, ১৯৭৯ সালে। ‘আমার স্কুল ছিলো ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ওখান থেকে ও লেভেল, এ লেভেল শেষ করে ২০০০ সালের জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডে চলে যাই। ইউনিভার্সিটি অব বাকিংহামে এলএলবি করেছি। এটা ইংল্যান্ডের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটার ফাউন্ডার ছিলেন লর্ড ডেনিং। উনি খুব ফেমাস ইংলিশ জজ। আমাদের দেশের বিশেষ করে আমার বাবার জেনারেশনের সবাই লর্ড ডেনিংয়ের ফ্যান।’ বলেন রাশনা।

২০০১ সালের ডিসেম্বরে এলএলবি শেষ করেন রাশনা ইমাম। তারপর ২০০২ সালে ৯ মাসের একটা এলএলএম (মাস্টার্স অব ল’) কোর্স সেখানেই করেন। এলএলএম শেষ করার পর সে বছরের সেপ্টেম্বরেই লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়া শুরু করেন। লিংকন জেনের মেম্বার হয়ে সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করেন।

২০০৩ সালে বার অ্যাট ল পড়া শেষ করে বাংলাদেশে চলে আসেন রাশনা। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাবার সঙ্গে প্র্যাকটিস করেন। ২০০৬ সালের শেষে আরেকটি মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে আবার লন্ডনে চলে যান। এ বিষয়ে রাশনা বলেন, ‘এটা খুব কমপিটেটিভ ও টাফ একটা ডিগ্রি। এটার নাম বিসিএল। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এক বছর পড়ে মেধার স্বাক্ষর রেখে এই ডিগ্রি অর্জন করি। এই ডিগ্রি বাংলাদেশে ড. কামাল হোসেনসহ হাতে গোনা কয়েকজনের আছে। আমার জানা মতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন মেয়ের এই ডিগ্রি নেই। ২০০৭ সালে বিসিএল ডিগ্রি সম্পন্ন হয়। তারপর লন্ডনে বিশ্বের অন্যতম নামকরা ল’ ফার্ম ব্রেকার অ্যান্ড মেকাঞ্জির লন্ডন অফিসে এক বছরের মত চাকরি করি। এখানে আমার স্পেশালাইজেশন ছিল করপোরেট ল।’

ব্রেকার অ্যান্ড মেকাঞ্জির লন্ডন অফিসে তার মন টেকেনি। এই দুর্লভ সুযোগ হাতছাড়া করে কিছু দিন পর চলে আসেন মাতৃভূমি বাংলাদেশে। বিদেশে অর্জন করা অভিজ্ঞতা দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে চান। আইনের জগতে অবদান রাখতে চান এই আইনজীবী।

বর্তমানে দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে আইনি পরামর্শ এবং সহায়তা দিয়েছেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। তামাদি হয়ে যাওয়া ও বিভিন্ন বৈষম্যমূলক আইনের বৈধতা প্রশ্নে দেশের উচ্চ আদালতে তার বেশ কিছু রিট শুনানিরত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের আইনগত বাধ্যবাধকতা, মৃত্যু পরবর্তী অঙ্গদানসহ বিভিন্ন মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সব মামলা।

বিশ্বখ্যাত মিত্তাল এবং শিন্ডার ইলেক্ট্রিক কোম্পানিকে প্রতিনিধিত্ব করার গৌরব রয়েছে রাশনা ইমামের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে।

দেশের বিভিন্ন স্থানীয় বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী এবং বহুজাতিক কোম্পানিকে আইনি পরামর্শ এবং সেবা প্রদান করে আসছেন ব্যারিস্টার রাশনা। চেম্বারস অ্যান্ড পার্টনারস, এশিয়া প্যাসিফিক ২০১৮-এর একজন শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী তিনি। ব্যারিস্টার রাশনা ইমামের বাবা ব্যারিস্টার আখতার ইমাম সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী এবং স্বামী ববি হাজ্জাজ রাজনীতিবিদ।

সূত্র: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

(ঢাকাটাইমস/২৭অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :