তবুও ছেলেকে নিয়ে ভীষণ ভয়ে শাহরুখ-গৌরী

২৮ দিনের জেলজীবন কাটিয়ে শনিবার বাড়ি ফিরেছেন আরিয়ান খান। গুমরে থাকা ‘মান্নাত’-এ এখন উচ্ছ্বাস আর আনন্দ। তবুও ছেলেকে নিয়ে ভীষণ ভয়ে আছেন তারকা বাবা-মা শাহরুখ খান ও গৌরী খান। ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাত দিয়ে খান পরিবারের অন্দরমহলের এমন গোপন খবরই প্রকাশ করেছেন হিন্দুস্থান টাইমস।
গত ২৮ দিন ধরে খবরের শিরোনামে আরিয়ান। আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে। কারও চোখে তিনি অপরাধী। কারও চোখে নিরপরাধ। দীর্ঘদিন ধরে আর্থার রোড জেলে বন্দি। কয়েদি নম্বর ৯৫৬ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা। ২৩ বছর বয়সী এই তারকা-সন্তানের মনের উপর দিয়ে একটা মাস ঝড় বয়ে গেছে।
নিজের ঘরে ফিরে এলেও সেই ভয়াবহতাকে ভুলে যাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে কখনও কখনও। আরিয়ান খানের ক্ষেত্রেও তেমন আশঙ্কা করছেন বাবা-মা শাহরুখ খান এবং গৌরী খান। সচেতন বাবা-মায়ের মতোই তাই ছেলের জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারকা-দম্পতি।
তাছাড়া শাহরুখ যখন ছেলের সঙ্গে আর্থার রোড জেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তখনই আরিয়ান তাকে জানিয়েছিলেন যে, জেলের খাবার তার মুখে রুচছে না। তাই ছেলের জন্য গৌরী নতুন ডায়েটের নতুন খাবার তৈরি করেছেন। ছেলের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি।
এদিকে শনিবার বাড়ি ফিরেই বাবা-মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করেন আরিয়ান। ছোট ভাই আব্রাম কিছু না বুঝলেও দাদার ঘরে ফেরার আনন্দে সে আত্মহারা। বোন সুহানা থাকেন দেশের বাইরে। কিন্তু ভিডিও কলে দাদার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনিও কেঁদে ফেলেন। অর্থাৎ, আনন্দ এবং আবেগের আবহ প্রাসাদসম অট্টালিকায়।
গত ২ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী এক প্রমোদতরী থেকে আরিয়ানকে আটক করেছিল মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ১৬ ঘণ্টা জেরার পর পরের দিন তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয় এবং গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর দুই দফায় আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি। বরং গত ৮ অক্টোবর আরিয়ানকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এরপর তৃতীয় দফায় মুম্বাই সেশন কোর্টও আরিয়ানের জামিন আবেদন বাতিল করে। পরে তার আইনজীবী সতীশ মানসিন্ডে বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এখানে দুই দফায় পেছানো হয় আরিয়ানের জামিন শুনানি। অবশেষে বৃহস্পতিবার শাহরুখপুত্রকে জামিন দেন বোম্বে হাইকোর্ট। শনিবার তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
ঢাকাটাইমস/৩১অক্টোবর/এএইচ

মন্তব্য করুন