বাউফলে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলি

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর ২০২১, ১৯:০৭

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাস এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা হাওলাদারের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সোমবার দুপুরে নওমালা ইউনিয়নের নগরের হাট এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের কয়েক নেতাকর্মী ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন ডাক্তার বাড়িতে গণসংযোগ করতে যান। তখন ঘোড়া পক্ষের কর্মী সমর্থকরা তাদের বাধা দেয় এবং লাঞ্চিত করে। এর জেরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের হাট এলাকায় নৌকার নেতাকর্মীরা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শাহজাদার বাড়িতে হামলা করলে ছুটে আসে ঘোড়ার সমর্থকরা। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এসময় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাস বলেন, আমাদের গণসংযোগে বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছে। নৌকার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ঘোড়ার কর্মী মিজান (৩৫) তার নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তাবে শাহজাদার হাওলাদারের বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আওয়ামীগ বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শাহাজাদা হাওলাদার বলেন, নগরের হাট বাসভবনে ও দোকানে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। আমার কর্মীরা কোন গুলি করেনি। কারো কোন গণসংযোগে বাধা দেওয়া হয়নি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সংঘর্ষ ও গুলি ছোড়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তিন-চার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। যারা গুলি ছুড়েছে তাদেরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

এর আগে গত শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নওমালা কলেজ সড়কের সাহা গাজীর বাড়ির সামনে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ওই সময় শাহাজাদা হাওলাদারের কর্মী মো. সজীব (২০) কামাল হোসেনের পক্ষের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার শরীর থেকে গুলি বের করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :