‘ডিজিটাইজেশন সাংবাদিকতায় অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছে’

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৩২
অ- অ+

ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত প্রচার মাধ‌্যম হিসেবে পত্রিকা, রেডিও এবং টেলিভিশন সাংবাদিকতায় অভাবনীয় পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই সব মাধ‌্যমসূহ সামাজিক যোগাযোগ মা‌ধ‌্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও অন‌্যান‌্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কনটেন্টসমূহ প্রকাশ করার সূযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি ডিজিটাল যুগের দক্ষতা অর্জনের মাধ‌্যমে শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের চ‌্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।

মন্ত্রী ঢাকায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ আয়োজিত মিডিয়া কনভার্জেন্স শীর্ষক সেমিনারে অনলাইনে যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

করোনাকালে সাংবাদিকতা আগের ধারায় ছিল না এবং করোনা পরবর্তী সময়েও তা আর আগের জায়গায় ফিরে যাবে না বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন সংবাদ মাধ‌্যম ‘আবাস’ এর চেয়ারম‌্যান সাংবাদিক মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশন পুরো সভ‌্যতা থেকে কাগজের এনালগ অস্তিত্ব বিদায় নিবে। স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন‌্য ডিজিটাল যন্ত্র ব‌্যবহার জানতেই হবে। এই জন‌্য ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। বেঁচে থাকার জন‌্য ডিজিটার যন্ত্র ব‌্যবহার জানতেই হবে। কে কী বিষয় নিয়ে লেখা পড়া করছে সেটা বিবেচ‌্য নয়। পাঠ‌্যপুস্তকের অর্জিত জ্ঞান লাভের পাশাপাশি প্রকাশ দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার।

ডিজিটাল যুগে বসবাস করার জন‌্য বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের পথিকৃৎ মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ‌্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করায় শতশত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

কম্পিউটারে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের জনক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে বাংলা হরফ প্রচলনের ধারাবাহিকতায় দেশে সীসার হরফে বাংলা লেখার যুগের অবসান হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিজয় বাংলা কী বোর্ড বিজ্ঞান সম্মত কী বোর্ড হিসেবে সরকারিভাবে গৃহীত হয়।

তিনি বলেন বাংলা ভাষা পৃথিবীর ৩৫ কোটি মানুষের মাতৃভাষা । ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের সহযোগিতায় বাংলা এখন যে কোন ডিজিটাল ডিভাইসে লেখার উপযোগী হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি।

সেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, ইউনিভার্সিটির সায়েন্স মালোয়েশিয়ার স্কুল অব কমিউনিকেশনের সহযোগী অধ্যাপক জুলিয়ানা আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী এম আনিছুল ইসলাম এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারপারসন ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ‘স্ট্রিমিং টিভি অ্যান্ড নিউ ভিউয়িং কালচার’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জুলিয়ানা আব্দুল ওয়াহাব।

অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান যতদিন বাংলা হরফ, বাংলা ভাষা কম্পিউটারে থাকবে ততদিন মোস্তাফা জব্বারের নাম অমর হয়ে থাকবে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন বাংলা প্রিন্টিংয়ের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা আমাদের বাংলা ভাষার বিকাশের জন‌্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।

(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দাম্পত্য কলহের জেরে যমজ ২ শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যা করেন মা
ইউআইইউ এলাকায় র‍্যাবের অভিযান, বিদেশি পিস্তলসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী মোজাম্মেল গ্রেপ্তার
ভোটের মার্কা থাকছে না শাপলা, ইসির নীতিগত সিদ্ধান্ত
ফের এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা