তাইওয়ান ইস্যুতে লিথুয়ানিয়া থেকে মাংস আমদানি বন্ধের ঘোষণা চীনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:২৮
অ- অ+

বাল্টিক এবং এর পশ্চিমা মিত্রদের সাথে তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনার মধ্যেই লিথুয়ানিয়া থেকে গরুর মাংস আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে চীন।

আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, সম্প্রতি, নিজ দেশে তাইওয়ানকে ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস খোলার অনুমতি দিয়েছে লিথুয়ানিয়া। দেশটির এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয় চীন। তারপর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় গরুর মাংস আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয় চীন। এ ছাড়া, লিথুয়ানিয়াকে কঠোর পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।

চীনের এ প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে তাইওয়ান। তারা লিথুয়ানিয়ার পাশে থাকারও প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করে। ইতোমধ্যে, তারা লিথুয়ানিয়া থেকে বড় অংকের মদ আমদানির ঘোষণা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে প্রথম ধাপে ১২০০ মদের বোতল তাইওয়ানে পৌঁছেছে। এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে সব মদ বিক্রি হয়ে যায়।

সাধারণত, কোনো গবাদিপশুর মধ্যে কোনো ভাইরাস ছড়িয়ে পরলে সংশ্লিষ্ট দেশ ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর এনিমেল হেলথ (ওআইই) কাছে রিপোর্ট করে। তখন আমদানিকারক দেশ তাদের আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। তবে, লিথুয়ানিয়া ওআইই এর কাছে এ ধরণের কোনো রিপোর্ট করেনি।

ইউরোপীয় কমিশন জানায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত চীনে লিথুয়ানিয়ার পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ৯১ শতাংশ কমে গেছে।

চীন বিশে^ সবচেয়ে বেশি গরুর মাংস আমদানি করে। গত বছর প্রায় আড়াই মিলিয়ন টন মাংস আমদানি করে দেশটি। তবে, এর মধ্যে মাত্র ৭৭৫ টন মাংস লিথুয়ানিয়া থেকে আমদানি করা হয়।

লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্রীয় খাদ্য ও গবাদি পশু সেবা বিভাগ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তারা চীনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও তথ্য বা কোনো নথি নেই সে বিষয়ে কিছু জানতে পারেনি।

সংস্থাটি আরো জানায়, ২০২০ সালে চীনা কর্তৃপক্ষ লিথুনিয়ার গরুর মাংস এবং মৎস্য পণ্য রপ্তানির ওপর পরীক্ষা চালায়। ওই পরীক্ষায়ও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

গত বছরের নভেম্বর মাসে তাইওয়ানকে দূতাবাস খোলার অনুমতি দেয় লিথুয়ানিয়া। এরপর থেকেই চীন-লিথুনিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

সাধারণত চীনা স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কিছু ঘটলে তারা সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে পণ্য আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। বর্তমান বিশ্বে চীন হচ্ছে সবচেয়ে বড় বাজার। কোনো দেশের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ওই দেশের পক্ষে দ্রুত নতুন বাজার তৈরি করা প্রায় অসম্ভব হয় । ফলে, অনেকটা বাধ্য হয়েই চীনের নীতি মেনে নিতে বাধ্য হতে হয় অধিকাংশ দেশকে। তবে, চীনের এ নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কতটুকু পরে তা নিয়ে সন্দিহান বিশ্লেষকরা।

(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/আরআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নিষিদ্ধ দলের কার্যক্রম ও নাশকতা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
ই-কমার্সকে দারিদ্র্য বিমোচনের কম্পোনেন্ট করতে চাই: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
২১ মে থেকে পুনরায় ফ্লাইট চালু করছে নভোএয়ার
স্বাধীনতার পতাকা নিয়ে কথা বলায় সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে: রিজভী 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা