দিব্যার মৃত্যুর নেপথ্যে কি স্বামী সাজিদই ছিলেন?

বিয়ের এক বছরের মাথায় মাত্র ১৯ বছর বয়সে কি খুন হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী? মুম্বাইয়ে দশতলার ফ্ল্যাট থেকে কীভাবে তিনি নীচে পড়ে গিয়েছিলেন? তার মৃত্যুর জন্য কি প্রযোজক স্বামী সাজিদ নাদিওয়াদওয়ালাই দায়ী? হরেক প্রশ্ন আজও ঘুরে বেড়ায় বলিউডের অলিগলিতে।
কিশোরী দিব্যা তার একরাশ লাবণ্য, মিষ্টি হাসি, দক্ষ অভিনয় দিয়ে সহজেই জায়গা করে নিয়েছিলেন দর্শকের মনে। ১৯৯০ সালে তেলুগু ছবি ‘ববিলি রাজা’য় শুরু ষোড়শী দিব্যার। বলিউডে পা রাখলেন ১৯৯২ সালে ‘বিশ্বাত্মা’ ছবিতে। তিন বছরের ঝলমলে ক্যারিয়ারে ‘দিওয়ানা’, ‘শোলাহ অউর শবনম’, ‘রং’, ‘দিল কা কায়া কসুর’-এর মতো জনপ্রিয় ছবি।
অকালমৃত্যুর আগে পর্যন্ত ২১টি ছবিতে কাজ করেন দিব্যা ভারতী। বলিউডে কান পাতলে এখনও শোনা যায়, আরও অন্তত ৩০টি ছবিতে কাজ করার কথা ছিল তার। সেই সময়ের বলিউডের নিরিখে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকের তালিকাতেও ছিল তার নাম।
‘শোলা অউর শবনম’-এর সেটেই সাজিদের সঙ্গে আলাপ দিব্যার। নায়ক গোবিন্দর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রযোজক সাজিদ। প্রথম দেখাতেই তাকে ভালো লেগে যায় কিশোরী নায়িকার। পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে দিব্যার মা জানান, প্রথম দেখার কদিন বাদেই সাজিদকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। বাবার অনুমতি নিতে বলেন মা। স্বভাবতই বাবা ঘোরতর আপত্তি জানান।
১৯৯২ সালের ১০ মে। বাড়ির অমতে গোপনেই সাজিদকে বিয়ে করেন সদ্য ১৮-তে পা রাখা দিব্যা। গাঁটছড়া বাঁধার কিছুক্ষণ আগে মাকে ফোন করে জানান সে কথা। আইনি বিয়েতে মা-কে সাক্ষী থাকতেও বলেন। কিন্তু বাবাকে বিষয়টি না জানিয়ে সাক্ষী হিসেবে সই করতে রাজি হননি তিনি।
বাবার কাছে বিয়ের বিষয়টি বহুদিন পর্যন্ত লুকিয়ে রেখেছিলেন দিব্যা। বিবাহিত নায়িকা থাকছিলেন মা-বাবার সঙ্গেই। মাঝেসাঝে দেখা হত স্বামীর সঙ্গে। ফলে বাবা বুঝতেই পারেননি বিয়ে হয়ে গেছে মেয়ের। দিব্যার মৃত্যুর কয়েক মাস আগে দীপাবলির দিনে তাদের বাড়িতে যান সাজিদ। তিনিই ফাঁস করেন বিয়ের খবর। সেই প্রথম বাবা জানতে পারেন, বিয়ে সেরে ফেলেছেন অভিনেত্রী মেয়ে!
পরের বছরের ৫ এপ্রিল। মুম্বাইয়ে নিজের দশতলার ফ্ল্যাটের জানালা থেকে নীচে পড়ে যান ১৯ বছর বয়সী দিব্যা। কী করে ঘটেছিল এমন ঘটনা? অভিনেত্রী মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি খুন? এখনও প্রশ্ন হয়েই থেকে গেছে। উত্তর মেলেনি আজও।
ঢাকাটাইমস/৪ মার্চ/এএইচ

মন্তব্য করুন