ছাইয়ের ওপর স্বপ্ন বুনছেন নীলক্ষেতের বই ব্যবসায়ীরা
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সব শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে বইয়ের বাজার হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত রাজধানীর নীলক্ষেত। যুগ যুগ ধরে নানা ধরনের বইপ্রেমীদের চাহিদা মিটিয়ে আসছে বাকুশাহ মার্কেটের বই বিক্রেতারা।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি এই মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুড়ে যায় ৩০টির মতো দোকান। ছাই হয়ে যায় অসংখ্য বই। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে। কেউ কেউ সহায় সম্বল হারিয়ে হয়েছেন নিঃস্ব। তবে থেমে থাকেন নি তারা। নতুন উদ্যোমে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বই ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন নীলক্ষেত বইয়ের মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ দোকান ফিরে এসেছে স্বাভাবিক অবস্থায়। আগুনের কালো ক্ষত ঢাকতে নতুন করে রং করা হয়েছে দোকানগুলো। ধীরে ধীরে ভরে উঠছে বইয়ের তাক। যদিও কিছু দোকানের সংস্কার কাজ এখনো চলমান।
কথা হয় চারুকলা স্টেশনারির মো জাকির হোসেনের সাথে। দুর্ঘটনায় তার ক্ষতি হয় প্রায় ২০ লাখ টাকা।কিভাবে সব সামলে উঠছেন জানতে চাইলে ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, পরিচিত মানুষদের থেকে ধার দেনা করে দোকানটা আবার ঠিক করছি। সামনে বিক্রির মৌসুম। যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা তো আর কাটিয়ে উঠতে পারবো না, তবে চেষ্টা করছি ঘুরে দাঁড়ানোর।
একই সুর মিললো খাজা বুক এন্ড স্টেশনারির ইমরান হোসেনের গালয়। তিনি বলেন, শূন্য থেকে আবার শুরু করলাম, কোমর তো ভেঙে গেছেই। এখন যতোটুকু পারছি সামলে উঠার চেষ্টা করছি। কোনো আর্থিক সহায়তা পেলে আমাদের জন্য আরো ভালো হতো।
দুর্ঘটনা পরবর্তী দক্ষিন সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষও ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। তবে সেই আশ্বাসের আঁশও এখন পর্যন্ত পাননি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এছাড়া নীলক্ষেতের বই মার্কেটের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারের দাবিও জানান তারা।
নিউ নয়ন লাইব্রেরির মো. আজগর আলী বলেন, এতো বিশাল ক্ষতির পরেও আমরা কোনো সহায়তা পেলাম না। সিটি করপোরেশন থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম নিয়ে গেছে, কিন্তু তারপর আর কোনো খবর নেই।
(ঢাকা টাইমস/৭মার্চ/আরকেএইচ)