দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ভোগ: মনিজা রহমানের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মাউশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২০ মার্চ ২০২২, ২২:২৪
অ- অ+

দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়ায় রাজধানীর গেন্ডারিয়ার মনিজা রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফুন্নাহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর (মাউশি)

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মনিজা রহমান স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মাঝে উপস্থিত হয়ে একথা জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন হয়নি এমন খবরে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। বেলা ১১টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

মাউশির মহাপরিচালক বলেন, অধিদফতরের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ফরম-ফিলাপের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আর প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ দুটি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেতন নিতেন। এ নিয়ে তদন্ত হয়েছে। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রওজাতুল জান্নাত ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা পরীক্ষা দিতে চাই। কিন্তু আমাদের রেজিস্ট্রেশন হয়নি বলে জেনেছি। বোর্ডের একটাই কথা প্রিন্সিপালকে পদত্যাগ করতে হবে৷ না হলে পরীক্ষা নিতে পারবে না। আমাদের প্রিন্সিপাল এক সঙ্গে দুই স্কুলের প্রিন্সিপালের দায়িত্বে আছেন। এসব আমরা জানি না। আমাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দিচ্ছেন না প্রিন্সিপাল মেডাম। আমাদের আন্দোলনে প্রিন্সিপাল পুলিশ দিয়ে মারধর করিয়াছেন।

নুর নাহার নামের একজন অভিভাবক ঢাকাটাইমসকে বলেন, বলতেছে ২০২২ এর রেজিস্ট্রেশন নাকি হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা কোনও কাগজ পাই নাই। বোর্ড ও স্কুলের প্রিন্সিপালের মধ্যে যে সমস্যা আছে তার সমাধান না হলে ২০২৩ সালে কোনও পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন হবে না শুনতেছি। আমাদের বাচ্চারা কিভাবে পরীক্ষা দেবে? আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। এখন হাতে মাত্র দুই মাস সময় আছে।

আগামী জুন মাসে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।

মনিজা রহমান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক নাসিরুদ্দিন বলেন, '২০২০ সালে অধ্যক্ষ লুৎফুন্নহার নিয়োগ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয় প্রকাশ পায়। তখন তার বিরুদ্ধে একজন অভিভাবক বোর্ডে অভিযোগ দাখিল দেন। পর তদন্ত হয়। তদন্তে প্রিন্সিপাল অভিযুক্ত হন। বোর্ড স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে বলে—এই প্রিন্সিপালকে সরিয়ে দেন বা ব্যবস্থা নেন। কিন্তু কমিটি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পরে বোর্ড ব্যবস্থাপনা কমিটি ভেঙে দিয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বরের দিকে অধ্যক্ষ লুৎফুন্নাহার বোর্ডের বিরুদ্ধে স্কুলের কমিটি ভেঙে দেওয়ায় মামলা করে।’

এদিকে মনিজা রহমান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. রফিকুল ইসলাম ও

উপপরিদর্শক কলেজ ঢাকা শিক্ষা বোর্ড উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রবিউল আলম। তারাও বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

ঢাকা টাইমস/২০মার্চ/পিআর/বিইউ

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
তারেক রহমানকে যুবদলের সম্মাননা
স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে সড়কে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, উত্তরবঙ্গ-ঢাকা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
ফ্রান্সের শেষ সংবাদপত্র ফেরিওয়ালা আলি আকবর পাচ্ছেন ‘অর্ডার অব মেরিট’ সম্মাননা
নির্বাচনে নিরাপত্তায় পুলিশের জন্য আসছে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা