মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০২২, ১৪:২৩| আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২২, ১৪:৩৮
অ- অ+
ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট মাদক মামলায় জামিন পেয়েছেন।

সোমবার দুপুরে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ জামিন মঞ্জুর করেন।

সম্রাটের আইনজীবী কাজী এহসানুল হক সমাজি ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা রয়েছে। তিনটি মামলায় জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এখন আর একটি মামলায় জামিন হলেই তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।’

মঙ্গলবার দুদকের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি হবে বলেও জানান আইনজীবী।

এর আগে রবিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন মানিলন্ডারিং মামলায় সম্রাটকে জামিন দেন। একই দিনে অস্ত্র আইনের মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

মানিলন্ডারিং মামলার বিবরণে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উপার্জিত অবৈধ অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা তিনি তার সহযোগী আসামি আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া পাচার করেছেন। ওই ঘটনায় ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফকিরাপুলে ইয়াং ম্যান্স ক্লাবে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু করে র‌্যাব। এর পর পালিয়ে যান সম্রাট।

ওই বছরের ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। আটকের সময় আরমান মাদকাসক্ত অবস্থায় থাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জানান, রাজধানীর কাকরাইলে তার রাজনৈতিক অফিসে অনেক মাদকদ্রব্য ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ রয়েছে। এরপর তাকে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ওই অফিসে অভিযানের সময় চতুর্থ তলায় তল্লাশি চালানো হয়। ওই ফ্ল্যাটের উত্তর দিকের পশ্চিম পাশের বেড রুম থেকে একটি ৭.৬৫ বোরের বিদেশী পিস্তল, আনুমানিক সাড়ে চার ইঞ্চি লম্বা একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড তাজা গুলি, দুটি ইলেকট্রিক মেশিন ও দুটি লাঠি জব্দ করা হয়। আসামি এসব আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

ওই ঘটনায় ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। অস্ত্র মামলাটি চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। আর মানিলন্ডারিং আইনের মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন।

ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/এএ/এফএ

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ট্রাম্পের যে কৌশলে থেমে যায় পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ
সোনার দাম আবারও কমলো, ভরি ১৬৭৬২৩ টাকা
হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গেছেন ৪০ হাজার ৬০৮ বাংলাদেশি
প্রচণ্ড গরমে শরীর শীতল রাখে জাদুকরী যেসব পানীয়
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা