বন্যায় তলিয়ে গেছে সরাইল-অরুয়াইল সড়ক

শেখ সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  প্রকাশিত : ২৪ জুন ২০২২, ১৮:২৪
অ- অ+

বিরামহীন ভারীবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তলিয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-অরুয়াইল সড়কের একাংশ। ফলে উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দার।

স্থানীয়রা জানায়, গত ৭-৮ দিনের প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে সরাইলের তিতাস মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নিচু এলাকার বসতবাড়িগুলো পানিতে ভাসছে। সরাইল-অরুয়াইল সড়কটি তলিয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সরাইল উপজেলার সঙ্গে সড়ক পথে পাকশিমুল ও অরুয়াইল ইউনিয়নের যোগাযোগ। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ২ লক্ষাধিক মানুষ। পানির জন্য বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আতঙ্কে আছেন উপজেলার মৎস্যচাষিরা। অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর, কাকরিয়া, রাণিদিয়া, ধামাউড়া, দুবাজাইল, পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি, তেলিকান্দি, হরিপুর, ষাটবাড়িয়া, বরইছাড়া, ফতেহপুর, পরমানন্দপুর, শাহজাদাপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর, ধাউরিয়া, চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া, নতুনহাটি তারাখোলা দেওবাড়িয়া, বড়বুল্লা ও নরসিংহপুর, শাহবাজপুর ইউনিয়নের ক্ষমতাপুর, পানিশ্বর ইউনিয়নসহ উপজেলার চার শতাধিক পরিবার হয়ে পড়েছে পানিবন্দি।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে- ক্ষমতাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধাউরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অরূয়াইলের ষোলাকান্দি মহিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুবাজাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকশিমুলের কালিশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেলিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভূঁইশ্বর পাতারহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুন্টার লোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘাগরাজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুন্টা পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রসুলপুর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পানিশ্বরের টিঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালিকচ্ছ উত্তর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজীজ বলেন, মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করায় অপারগ হয়ে আপাতত ১৪টি স্কুল বন্ধ দিয়েছি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল বলেন, উপজেলার ৩০০ পানিবন্দি পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অর্থ ও চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রয়োজনে সেই বরাদ্দের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/আঞ্চলিক প্রতিনিধি/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সাপাহারে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল
সুনামগঞ্জে নৌকাডুবিতে বৃদ্ধার মৃত্যু
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন, ফল প্রকাশ হতে পারে ২১ জুলাই
গাজায় পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ: স্কুল-হাসপাতাল-আশ্রয়কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল, অভিযোগ যুদ্ধাপরাধের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা