চুয়াডাঙ্গায় সড়কে গাছ ফেলে গণডাকাতি

চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করেছে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল। সড়কে গাছ ফেলে পথ অবোরধ করে ঘণ্টাব্যাপী লুটপাটের তান্ডব চালায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া শালীকচড় মাঠে ওই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এ সময় ডাকাত দলের সদস্যদের মারধরে ভুক্তভোগী ১০ জন পথচারী আহত হয়েছেন।

আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের কর্মকর্তারা।

বিশিষ্ট ঠিকাদার ও সুপার ব্রীক্সের সত্বাধিকারী আব্দুল ওয়াহেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সরোজগঞ্জ বাজার থেকে ব্যক্তিগত প্রাইভেট যোগে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় ডাকাতদল তার গাড়ির গতিরোধ করে। তাকে মারধর করে তার কাছে থাকা নয় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার সবচেয়ে বড় পশুহাট শিয়ারমারী বাজার ছিল। তবে প্রতি বৃহস্পতিবার হাট উপলক্ষে পুলিশের টহল থাকলেও ঘটনার সময় টহল টিম ছিল না।

এ বিষয়ে নানা ধরনের মন্তব্য ইতোমধ্যে প্রকাশ করছেন তারা।

আলমডাঙ্গা থানার জোড়গাছা গ্রামের শহিদুল হকের ছেলে গরু ব্যবসায়ী আব্দুল হক আজাদ বলেন, আমরা শিয়ালমারী পশুহাট থেকে মোটরসাইকেলে ফেরার সময় সড়াবাড়ীয়া মাঠের মধ্যে পৌঁছালে ডাকাতির কবলে পড়ি। আমার কাছে থাকা ব্যাগে ১৪ লাখ টাকা ছিল দেশীয় ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ছিনিয়ে নেয়।

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা ( মিথুন), ঝিনাইদহের সেনেটারী ব্যবসায়ী মিলন, রনি সাহা, ঠিকাদার এমএম এন্টারপ্রাইজের মালিক রাজু জীবননগর থেকে প্রাইভেট যোগে ফেরার পথে ডাকাতের কবলে পড়ে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি স্বর্ণের আংটি, লকেটসহ ১টি স্বর্ণের চেইন, ১টি ব্রেসলেটসহ আনুমানিক ১৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেরার গড়াইটুপি গ্রামের খোকনের কাছ থেকে নগত পাঁচ হাজার টাকা, তেঘরী গ্রামের তৈমুরের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা, সড়াবাড়িয়ার বিশারত ও মন্টুর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, সুজায়েতপুর গ্রামের ডাক্তার মিলন হোসেনের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা, বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের শ্যামল ও কামাল কাছ থেকে দুই হাজার টাকা।

পরে ডাকাতির দৃশ্য দুর থেকে দেখে অনেকে দৌঁড় দিয়ে পালিয়ে যায় এবং চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা মাঠের মধ্য থেকে একটি মালিকবিহীন পাখিভ্যান উদ্ধার করে।

খবর পেলে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইসএম লুৎফুল কবীর।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক বলেন, বিষয়টা খুবই অপ্রত্যাশিত। তবে এ ঘটনায় আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১জুলাই/এসএ)