তাড়াশে কাউরাইল প্রাথমিকে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কাউরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একতলা বিশিষ্ট ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ নামে ভবনটির শ্রেণিকক্ষগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনটিতে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে। নেই কোন সরকারি বরাদ্দ। অভিযোগ রয়েছে, যে সকল প্রতিষ্ঠানে সরকারি বরাদ্দের প্রয়োজন নেই। সেই সকল প্রতিষ্ঠানে তদবির করে বরাদ্দ পায়, কিন্ত এই প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ হয় না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৯৯৯ সালে তাড়াশ পৌর এলাকার কাউরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন কক্ষের একটি একতলা ভবন নির্মাণ করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট। স্কুলটিতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা ভবনের শ্রেণিকক্ষগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ছে। বৃষ্টির সময়ে ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে মেঝেতে। ফলে সবসময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অবস্থা দিনদিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। পাঠদান চালু রাখার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষেই চলছে ক্লাস।
আনোয়ার হোসেন নামে এক অভিভাবক বলেন, সবসময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে ভবনটি দূর থেকে দেখে বিষয়টি বোঝার উপায় নেই, কিন্তু ভেতরে গেলে চোখে পড়ে ছাদে ও দেওয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ার চিত্র।
কাউরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুবুর রহমান রাজন বলেন, গত ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদানের পর মাত্র দুই বছরের বিদ্যুৎবিহীন টেবিল-চেয়ারবিহীন হাজারো সমস্যায় জর্জরিত, জরাজীর্ণ (রেজিষ্টার) বর্তমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে উপজেলার মধ্যে মডেল বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করতে নিজের অনেক শ্রম, মেধা ও অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আইয়ুবুর রহমান রাজন অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠানে নিজের টাকা দিয়ে কি সব কাজ করা সম্ভব? নিজের টাকা ব্যয় করে এতো কিছু করার পরও অন্য বিদ্যালয়ের মত, এই বিদ্যালয়ের উন্নয়নে নেই দুই লক্ষ টাকার ক্ষুদ্র মেরামত, নেই ৪০ হাজার টাকার রুটিন মেইনটেইনসহ কোন সরকারি বরাদ্দ। কোন সরকারি বরাদ্দ ছাড়া শুধু নিজের টাকা ব্যয় করে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কে কতোটুকু উন্নয়ন এবং শিক্ষা দীক্ষায় সমৃদ্ধ করা যায়? তাই চাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও ন্যায় বিচার। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও ভালো কোন শৌচাগার। এছাড়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার নামকরণের একতলা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ।
তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আখতারুজ্জামান বলেন, বিদ্যালটির উন্নয়নের জন্য সরকারি বরাদ্দের জন্য চাহিদা পাঠানো হবে।
(ঢাকাটাইমস/১জুলাই/এলএ/এসএ)