পি কে হালদারের সহযোগী রাশেদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা
ভারতে আটক দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম লুটেরা প্রশান্ত কুমার হালদারে অন্যতম সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসে লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হকের বিরুদ্ধে সম্পদের মিথ্যা তথ্য দাখিলের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিমন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রুহুল আমীন বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন। দুদকের মামলা অনুসন্ধান ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাশেদুল হক অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য প্রদর্শন করে মোট ৫৫ লাখ ২ হাজার ৩২ টাকার আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন ও তা ভোগ দখলে রাখেন।
মামলার অনুসন্ধান থেকে আরো জানা যায়, তার গোপন করা অর্থের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ উক্ত সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য প্রদর্শন করা ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
গত ২০২১ সালে ২৪ জানুয়ারি সেগুনবাগিচা থেকে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফসিএল) চেয়াররম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক।
গ্রেপ্তারের পর ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক ১৬৪ ধারায় আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে লিজিং লুটের নেপথ্যে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী এবং সাবেক নিবার্হী পরিচালক শাহ আলম নাম বলেন।
দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের অর্থ আত্নসাতে ২২টি এবং এফএএস ফাইন্যান্সের অর্থ আত্মসাতে ১২টি নিয়ে সর্বমোট ৩৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ আসামি আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
(ঢাকাটাইমস/এসআর/১১আগস্ট/কেএম)