সাতক্ষীরা ডিসি অফিসের আট কর্মচারীসহ ১১ জনের কারাদণ্ড
সরকারি খাস জমি নামপত্তন জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আট কর্মচারিসহ ১১ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ড. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আদালতে হাজির থাকা সকল আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভূমি শাখার উচ্চমান সহকারী রেকর্ড কিপার পুতুল রানী বৈরাগি, অফিস সহকারী (রেকর্ড রুম) শ্যামল কুমার আচার্য, মুদ্রাক্ষরিক বেগম জেসমিন নাহার, সার্টিফিকেট অফিসার (রেকর্ড রুম) সামছুজ্জামান, অফিস সহকারী আফসার উদ্দিন ও আ. মজিদ সরদার (পলাতক), ওয়াজেদ সরদার ও মোহাম্মাদ আলী সরদার।
আইনজীবী মজিবর রহমান জানান, সাতক্ষীরা শ্যামনগরে সরকারি খাস জমি জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৭ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোস্তফা আব্দুল হালিম। পরে তদন্ত কর্মকর্তা দুদক, খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক এবিএম আব্দুস সবুর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এদিকে একই দিন সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের আলাদা মামলায় আসামি শামীমা আক্তার, শ্যামল কুমার আচার্য, জেসমিন নাহার, সেলিমা সুলতানা, আফসার উদ্দিন ও মো. হোসেন আলীকে ৭ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিদেরও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এলএ)