কর্ণফুলীর তলদেশে চলবে গাড়ি, ঢাকায় মেট্রোরেল

রুদ্র রাসেল, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২২, ০৮:০৩ | প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৫৩

সব ঠিকঠাক। আকস্মিক কোনো জটিলতা না বাঁধলে আগামী মাসে খুলে দেওয়া হবে মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশ। ডিসেম্বরের শেখ সপ্তাহের যে কোনো দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের এই অংশের উদ্বোধন করবেন। এরপরই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই রুটে চলতে ভাড়া লাগবে ২০ টাকা। আরেক মেগাপ্রকল্প কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ ৯৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী শনিবার টানেলের সাউথ টিউবের উদযাপন অনুষ্ঠান। এতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই উপলক্ষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এখন সাজসাজ রব। তবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই টানেল যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে। এই সময়ের আগেই অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন হবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এই টানেলে গাড়ি চলতে কত টাকা টোল লাগবে, তা নির্ধারণে কাজ চলছে বলে জানা গেছে।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (ডিএমআরটি) ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এমআরটি লাইন-৬ (উত্তরা-আগারগাঁও) অংশের কাজ প্রায় শেষ। এ পর্যন্ত মেট্রোরেলের ১৯টি ট্রেনসেট দেশে এসেছে, যা উত্তরা ডিপোতে রয়েছে। এছাড়া কয়েকদিন আগে আরও দুটি ট্রেনসেট জাপানের কোবে সমুদ্রবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে, যা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় পৌঁছবে। তবে ১০টি ট্রেনসেট দিয়েই প্রাথমিকভাবে উত্তরা-আগারগাঁও রুটে চলাচল শুরু করবে মেট্রোরেল। এমন তথ্যই জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এমআরটি লাইন-৬ এর সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন বলছে, মোট ৮টি প্যাকেজে এমআরটি লাইন-৬ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন প্যাকেজের বাস্তব কাজের শতভাগ অগ্রগতি হয়েছে। এতে সরকারের ৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। ডিপো এলাকার পূর্ত কাজ প্যাকেজের নির্ধারিত ৫২টি অবকাঠামো নির্মাণ গত ২০ জুন শেষ হয়েছে। প্যাকেজ-৩ ও ৪ এর আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১.৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৯টি স্টেশন নির্মাণকাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি স্টেশন নির্মাণ শেষ হয়েছে। বাকি দুটির কাজ চলছে। ৯টি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ও কনকর্সে লাইটিং স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। এই প্যাকেজের বাস্তব অগ্রগতি ৯৬.৭৫ শতাংশ।

এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা উদ্বোধনের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে সময় চেয়েছি। আশা করছি, ওই সময়ে যেকোনো দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সময় দেবেন।’

তিনি জানান, মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাড়া মওকুফ থাকবে। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘ডিসেম্বরে- আমাদের বিজয়ের মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই এমআরটি লাইন-৬ এর উদ্বোধন করবেন।’

বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬.২১ কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ ও নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ১১.৩৬ কিলোমিটার উড়াল মেট্রো রেল নির্মাণ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় ২০১৯ সালের অক্টোবরে। এই চুক্তির আওতায় প্রকল্প অনুমোদনের তিন বছরের ব্যবধানে আগামী ডিসেম্বর মাসে দেশের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো রেলের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।

এদিকে রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় যানজট নিরসনে ছয়টি মেট্রো রেল নির্মাণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ধারাবাহিকতায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও একই ধরনের গণপরিবহন সেবা চালু করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে ৭০.৬৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরে 'ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রো রেল ট্রানজিট কন্সট্রাকশন অব চট্টগ্রাম' প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, ২০২৬ সালের মধ্যে উড়াল ও পাতাল মিলে ৩১.২৪ কিলোমিটার লাইন নির্মাণের কাজ শেষ করতে নেয়া এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা আছে ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকা। মোট ছয়টি প্যাকেজের আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এর মধ্যে প্রথম প্যাকেজের আওতায় মাটি ভরাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পাশর্^বর্তী রাস্তার উন্নয়ন, স্লপ প্রটেকশন, সেটেলমেন্ট মনিটরিং ইত্যাদি কাজ হবে। এসব কাজ শেষ করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে আড়াই বছর সময় দেয়া হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরও জানান, ডিপোর কাজ এগিয়ে নিতে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালী এলাকায় ৮৭৮ কোটি টাকায় ৯২.৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে পুরো জমি হস্তান্তরযোগ্য অবস্থায় রয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, নর্দা, নতুন বাজার ও উত্তর বাড্ডার তিনটি স্টেশনে এন্ট্রি ও এক্সিটের জন্য এবং একটি সাবস্টেশনের জন্য জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে, নির্মাণ তদারকির পরামর্শক হিসেবে আটটি কোম্পানির সমন্বয়ে একটি জাপানি সংস্থার নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম নিয়োগ করা হয়েছিল। লাইনটিতে ২১টি স্টেশন থাকবে- ১২টি আন্ডারগ্রাউন্ড এবং ৯টি এলিভেটেড। এছাড়াও আট কোচবিশিষ্ট ২৫ সেট ট্রেন এই লাইনে প্রতিদিন চলাচল করবে। একটি ট্রেনের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা হবে ৩,০৮৮ জন।

কর্মকর্তাদের মতে, বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যেতে মাত্র ৩৪ মিনিট, নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল ২০ মিনিটে এবং কমলাপুর থেকে পূর্বাচল যেতে ৩৫ মিনিট সময় লাগবে।

ট্রেনগুলো অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যাত্রীদের সহজে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের জন্য স্টেশনগুলোতে লিফট, সিঁড়ি এবং এসকেলেটর থাকবে।

কর্মকর্তাদের মতে, উদ্বোধনের পর ২০২৮ সালে ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেলের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৮ লাখ যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেল চালু হওয়ার সাথে সাথে ৫০ লাখেরও বেশি যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করতে পারবে।

মেট্রোরেলে উঠলেই ২০ টাকা

বছর দেড়েক আগেই ভাড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে মেট্রোরেলের। এতে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ৫ টাকা। তবে সর্বনিম্ন ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ২০ টাকা। অর্থাৎ একটি স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনে নামলেও একই ভাড়া দিতে হবে। ২০ কিলোমিটারের পুরো লাইনের ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ১০০ টাকা। অর্থাৎ কেউ মতিঝিল থেকে উঠে উত্তরার দিয়াবাড়ি বা দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল গেলে এই ভাড়া দিতে হবে।

দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যেতে ভাড়া গুনতে হবে ৬০ টাকা। প্রতিদিন ১০ সেট ট্রেন চলবে। প্রথম অবস্থায় ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে এসব ট্রেন। প্রথম অবস্থায় ১০ মিনিট অন্তর অন্তর ছেড়ে যাবে ট্রেন। তবে চাহিদা বাড়লে ট্রেন বাড়বে, সময়ের ব্যবধানও কমে আসবে।

জানা গেছে, যাত্রীরা টিকিট কেটে যেমন একবার যাতায়াত করতে পারবেন, তেমনি থাকবে সাপ্তাহিক বা মাসিক কার্ডের ব্যবস্থাও। সাপ্তাহিক কার্ডে ৭ দিন আর মাসিক কার্ডে পুরো মাসে যতবার খুশি, ততবার যাতায়াত করা যাবে। পরিবারের একাধিক সদস্যের জন্যও একটি কার্ড করার ব্যবস্থা থাকবে। এসব কার্ড করলে আলাদা টিকিট কাটার দরকার পড়বে না। আর এই কার্ডে ভাড়ায় ছাড়ও থাকবে।

আওতায় আসবে চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম শহর এবং আশপাশের উপজেলায় মেট্রোরেল চালু এবং সমন্বিত পরিবহন পরিকল্পনা তৈরির লক্ষ্যে 'ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রো রেল ট্রানজিট কন্সট্রাকশন অব চট্টগ্রাম' প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়সীমার এই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এতে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) ৫৭ কোটি টাকা সহায়তা দেবে।

জানা গেছে, শুধু চট্টগ্রাম শহরে মেট্রোলের প্রাথমিক সমীক্ষার প্রস্তাব থাকলেও একনেক সভায় সীতাকুণ্ড, পটিয়াসহ আশেপাশের উপজেলায়ও মেট্রোরেল চালু করা যায় কিনা সেই বিষয়টিও সমীক্ষাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম শহর ও আশেপাশের এলাকার জন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনা করা হবে বলেও জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের মার্চে চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষ হলে মূল সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হবে। দুই বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ হলে ২০২৭ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।

প্রস্তুত হচ্ছে কর্ণফুলী টানেলও

অন্যদিকে সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া আরেক মেগাপ্রকল্প কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে নির্মাণাধীন সুরঙ্গপথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সাউথ টিউব পূর্তকাজ উদযাপন অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার সকাল ১০টায়। এতে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্পের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ঢাকা টাইমসকে জানান, ‘প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী সাউথ টিউব উদযাপন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই আমরা সম্পন্ন করেছি। ইতোমধ্যেই অতিথিদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে গেছে। এ টানেলটি একটি সম্ভাবনার হাতছানি।’

তিনি জানান, পূর্ত কাজের উদযাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে পতেঙ্গায় বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। কাজ শেষ হতে ফেব্রুয়ারি মাস লাগতে পারে। বর্তমানে টানেলের সিভিল অংশের কাজ শেষ। সেই সঙ্গে গাড়ি চলাচলের জন্য সড়কের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। চলছে টানেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ইলেক্ট্রো মেকানিক্যালের কাজ।

প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জানান, ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল কাজের মধ্যে বিভিন্ন রকমের সিস্টেম রয়েছে। রাস্তা বা ব্রিজের সিভিল কাজ শেষ হলেই চালু করা যায়। কিন্তু টানেলের কাজ শতভাগ শেষ হওয়ার পরও নিশ্চিত হতে হবে, সব সিস্টেম কাজ করছে কিনা। ভেন্টিলেশন সিস্টেম, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, ড্রেনেজ সিস্টেম, কমিউনিকেশন সিস্টেম, পাওয়ার সিস্টেম ও মনিটরিং সিস্টেম এগুলো অনেক যন্ত্রপাতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

কর্মকর্তারা বলেন, প্রত্যেকটা যন্ত্র বসানোর আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। এরপর সব সিস্টেমে একসঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে তদারকি করতে হবে যে, কোথাও সিস্টেম সংযোগে ত্রুটি আছে কিনা। সেজন্য সিস্টেম ট্রায়াল দিতে হবে। সিস্টেম সিগনাল ঠিক মতো কাজ করলে তা টোলপ্লাজার সঙ্গে লিঙ্ক করার কাজ শুরু হবে। যাতে কন্ট্রোলরুম থেকে ড্রেনেজ, ভেন্টিলেশন সিস্টেমসহ সব ঠিক মতো কাজ করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেজন্য টানেলের কাজ শেষ হলেও ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল ট্রায়াল শেষ করে সব সিস্টেম যথাযথ কাজ কিনা তা যাচাই করতে হবে। এরপর সাধারণ মানুষের জন্য টানেল উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। তবে সব প্রক্রিয়া শেষ হতে জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক তিন দুই কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক চার পাঁচ কিলোমিটার। বর্তমানে কর্ণফুলী টানেলের সংশোধিত নির্মাণ ব্যয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। নতুন করে ৭০০ কোটি টাকা বেড়ে টানেলের ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রকল্পের প্রথম ডিপিপি প্রণয়নকালে খরচ ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা।

(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :