ত্বকের যত্নে ম্যাজিকের মতো কাজ করে কমলালেবুর খোসা

শীতের এই কয়টা মাস চুটিয়ে কমলালেবু খাওয়ার সময়। ঠান্ডা যত জাঁকিয়ে বসছে, ততই কদর বাড়ছে কমলালেবুর। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এবং বাইরে থেকে এরইমধ্যে কমলালেবু বাজারে আসতে শুরু করেছে। কমছে দামও।
অনেকেই তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি করে কমলালেবু রাখছেন। কিন্তু লেবু খাওয়ার পর খোসাটা ফেলে দেওয়াই দস্তুর। কিন্তু জানেন কি কমলার খোসাতেও রয়েছে এমন সব গুণ, যা ত্বকের যত্নে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। যেমন-
ব্রণ কমাতে
কমলালেবুর খোসাতে থাকে জীবাণুনাশক, প্রদাহনাশক ও ছত্রাকনাশক গুণ। মুখে হওয়া ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে মুখকে ব্রণমুক্ত করে তুলতে পারে কমলার খোসা। একটি গোটা কমলার খোসা ১ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে নিয়ে সেই পানি মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন।
ত্বকে তেলের ভারসাম্য বিগড়ে গেলেও ব্রণ হয় অনেক সময়। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে তাজা কমলার খোসার সঙ্গে মুসুরের ডাল বেটে নিন। সেই মিশ্রণটি নিয়মিত ত্বকে লাগান। এতে ত্বক মসৃণ তো হবেই, মুখের দাগও দূর হবে।
তবে কমলার খোসা সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা যায় না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
রোদে পোড়া ত্বকের পরিচর্যা
রোদে পোড়া ত্বকের জৌলুস ফেরাতে ও ত্বক উজ্জ্বল করতে কমলালেবুর খোসার তুলনা নেই। ২ টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়া, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
এভাবে মাসে ৩ থেকে ৪ বার করলে ভালো ফল পাবেন। নয়তো ১ টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ হলুদ ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখ ও গলায় লাগান। ১০ মিনিট পর গোলাপ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন, তবে ব্রণ থাকলে এই প্যাক লাগাবেন না।
মুখ পরিষ্কার করতে
ত্বকে প্রাণ নেই? কাজে আসতে পারে কমলার খোসা। স্ক্রাবার হিসাবে কমলালেবুর খোসা ত্বকের মৃত কোষকে সারিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
এক টেবিল টক দই চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে গোটা মুখে মেখে নিন। ২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন উজ্জীবিত লাগবে ত্বক। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতেও কাজে আসে কমলালেবুর খোসা।
(ঢাকাটাইমস/৮ডিসেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন