মাদারীপুরে শীত-কুয়াশায় ফসলের ক্ষতি, প্রান্তিক চাষিদের ক্ষতিপূরণ দাবি

সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
| আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:৫২ | প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:৪৮

গেল মাসখানিকজুড়ে হিমেল হাওয়া, প্রচণ্ড শীত আর কুয়াশা অব্যাহত ছিল। তবে আগের চেয়ে তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের তীব্রতা কমেনি। শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তীব্র শীতে মাদারীপুরে শীতকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। কীটনাশক স্প্রে করেও সুফল মিলছে না বলছেন কৃষকরা। তাই তো প্রান্তিক চাষিরা সরকারিভাবে সহযোগিতা দাবি করছেন। অন্যদিকে শীতে বোরো ধান রোপন করতে কিছুটা বিলম্ব করার আহবান কৃষি অধিদপ্তরের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অব্যাহত ঘন কুয়াশা ও রোদ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শীতকালীন লাউ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ধানের চারা, ঝরে পড়ছে সরিষার ফুল। তীব্র ঠাণ্ডায় কৃষক জমিতে কাজ করতে পারছে না। অনেকে পলিথিন আর নেট দিয়ে ঢেকে কিংবা নানা রকমের কীটনাশক স্প্রে করেও তেমন কোনও সুফল পাচ্ছেন না। চলতি রবি মৌসুমে মাদারীপুরে বিভিন্ন ফসল আবাদ হয়েছে ৫৪ হাজার ১১ হেক্টর জমিতে। যার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯০ হাজার ৪৫ হেক্টর। মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে দাম ভাল থাকলেও অব্যাহত ঘন কুয়াশা মৌসুমি বৃষ্টির ফলে ক্ষেতে ডগা পাচা রোগসহ ও অন্যান্য পোকা মাকড়ের আক্রমণে গাছের ক্ষতি হয়েছে, হ্রাস পেয়েছে উৎপাদনও। তাই চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন চাষিরা।

পাঁচখোলা গ্রামের চাষি কুদ্দুস ফকির বলেন, গেল দেড় দুই মাস শীত আর কুয়াশা পড়ায় আমার বেশিভাগ লাউয়ে ফুল এসে পচে গেছে। যে কারণে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে খোঁজ খবরটুকুও নেয় না। আমাদের তৃণমূলের চাষিরা আল্লাহর উপর ভরসা করে চাষাবাদ করি। কিন্তু সরকারি সহযোগিতা পাই না।

আরেক কৃষক কুলপদ্ধি এলাকার মোছলেম উদ্দিন বলেন, এবার আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, যদি সরকারিভাবে সহযোগিতা না করে তাহলে আমাদের মাথায় হাত। শীতকালীন ফসলের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তাই সরকারি উদ্যোগে বীজ সার আর সহজ শর্তে ঋণ দাবি করি। যদি এসব দেয়, তাহলে আমরা কৃষকরা বাচব।

এদিকে জেলা কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক দিগবিজয় হাজরা বলেন, শীতে কিছু ফসলের ক্ষতি হলেও অধিকাংশের উপকার হয়। তবে শীত আর কুয়াশার তীব্রতা বাড়লে বোরো ধান রোপন থেকে বিরতি থাকতে হবে। যদি শীত আর কুয়াশা বেশি হয়, তাহলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কৃষকদের সহযোগিার বিষয় আমাদের মাথায় আছে। আমরা চেষ্টা করি তাদের সহযোগিতা করার।

রোগ-বালাই রোধে প্রতিটি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা থাকলেও অধিকাংশ এলাকায় মাঠ পর্যায়ে তাদের পাওয়া যায় না বলে দাবি প্রান্তিক চাষিদের। মাদারীপুরে ৬০টি ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/এলএ/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :