পটুয়াখালীতে মাশরুম চাষে বিপ্লব

স্বপ্নীল দাস, পটুয়াখালী
 | প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৫

দিন দিন মাশরুম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বেকার যুবক-যুবতীসহ অনেকেই। পটুয়াখালী শহরে বেড়েছে মাশরুমের চাহিদা।

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও এজমা রোগ নিরাময়ক, ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধসহ নানা ধরনের রোগ নিরাময় ও প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখে মাশরুম।

বেকারত্ব লাঘবে মাশরুম চাষে ঝুঁকছেন অনেকেই। সহযোগীতা পেলে এসকল মাশরুম ব্যবসায়ীরা আরও বৃহৎ আকারে মাশরুম চাষ করে লাভবান হতে পারবে এবং বহু বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারবে বলে আশাবাদী মাশরুম চাষিরা৷

জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে মাশরুম রপ্তানি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে বিভিন্ন মাশরুম সেন্টার।

পটুয়াখালী পৌর শহরের পশ্চিম আরামবাগে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ শুরু করেন মিসেস নাসরিন হক। মাশরুম চাষ করে বেশ সাড়া ফেলেছেন নাসরিন। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ২৫০ খড়ের স্পন প্যাকেট। আর এ স্পন থেকে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো মাশরুম বিক্রি করে মাসে আয় করছেন প্রায় হাজার হাজার টাকা। বর্তমানে নাসরিনের সাফল্যের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাজুড়ে। তার চাষ দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক আগ্রহী হচ্ছেন এই পেশায়।

মাশরুম চাষি মিসেস নাসরিন হক জানান, খড়, কাঠের গুঁড়া, গমের ভূষি, তুষ ও চুন দিয়ে আমি নিজেই মাশরুমের বীজ তৈরি করি। দিনে তিনবার পানি স্প্রের ২৫ দিনের মাথায় শুরু হয় ফলন।

সানায়া মাশরুম সেন্টারের কর্মচারী লিটন হাওলাদার জানান, আমি সানায়া মাসরুম সেন্টারে কাজ করি। আগে আমি বেকার ছিলাম এখন এই সানায়া মাশরুম সেন্টারে কাজ করে নিজের বেকারত্ব দূর করতে পেরেছি এবং ভালোভাবে জীবন যাপন করছি।

নাসরিন এ খামার থেকে বর্তমানে প্রতিনিয়ত ৫ কেজি করে মাশরুম পাচ্ছেন নাসরিন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজির মতো অর্ডার আসে। তবে বেশির ভাগ অর্ডার অনলাইনেই আসে। গত ছয় মাসে নাসরিন এক লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকার মাশরুম বিক্রি করেছেন।

পটুয়াখালীর পুরাতন বাজার এলাকার আর এক মাশরুম চাষি স্বপ্নীল দাস। পেশায় তিনি একজন সাংবাদিক। গত বছর পটুয়াখালীর প্রথম মাশরুম চাষি সৌমিত্র শুভ'র মাশরুম চাষে সফলতার গল্প নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার সময়ে নিজেই আগ্রহী হয়ে পড়েন মাশরুম চাষে। পরবর্তীতে তিনি স্বল্প পরিসরে শুরু করেন মাশরুম চাষ।

মাশরুম চাষি স্বপ্নীল দাস বলেন, বর্তমানে আমি বিভিন্ন ভ্যান গাড়িতে, হোটেলে এবং বাসা বাড়িতে মাশরুম দিয়ে থাকি। প্রতিদিন ৫-৭ কেজি মাশরুমের অর্ডার থাকে। সহযোগীতা পেলে বড় পরিসরে মাশরুম চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মাশরুম বিক্রেতা মো. স্বপন বলেন, আমরা ভ্যান গাড়িতে করে আলু ভাজা, চিংড়ি-রসুনের বড়া, চিকেন ফ্রাই বিক্রি করি৷ মাশরুম চাষি স্বপ্নীল ভাই আমাদেরকে মাশরুম ফ্রাই বিক্রি করার পরামর্শ দেন। বর্তমানে মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন ১-১.৫ কেজি মাশরুম ফ্রাই বিক্রি হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :