বাউফলে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আহত ৫০

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩, ১৬:০০ | প্রকাশিত : ১৭ মার্চ ২০২৩, ১৫:৫৬

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করতে গিয়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার ও ৬ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৫০ নেতা কর্মী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বাউফল উপজেলা পরিষদের গেট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্যসহ পুলিশ ২০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে বলে জানান বাউফল থানার ওসি।

সূত্র জানায়, দিবসটি উপলক্ষে চার ভাগে বিভক্ত হয় উপজেলা আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে স্থানীয় সাংসদ সাবেক চিফ হুইপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় জনতা ভবনে দিবসটি পালনের জন্য স্থান নির্ধারণ করেন। অপরপক্ষ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদারও একই স্থানে দিবসটি পালনের ঘোষণা দেন। এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে ছিল।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আ স ম ফিরোজ সমর্থিত নেতা কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর, শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজ ছবি সম্বলিত বিভিন্ন ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনে জড়ো হতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি মিছিল উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে দিয়ে জনতা ভবনে যাওয়ার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রশাসন মিছিলে বাঁধা দেয়। এক পুলিশ লাঠিচার্য শুরু করলে মোতালেব হাওলাদারের কর্মী সমর্থকরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ সময় ২০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এরপর চার-পাঁচ জন নেতাকর্মী নিয়ে পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে মোতালেব হাওলাদার আওয়ামী লীগ জনতা ভবনের দিকে যেতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মোতালেব হাওলাদার আহত হন। পড়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. সোয়েব মাহমুদ জানান, মোতালেব হাওলাদারের শরীরে বিভিন্ন অংশে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠির আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও রিপন নামের অপর এক কর্মীর একাধিক রাবার বুলেটের আঘাত থাকায় তাদের দুজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দুপক্ষকে একসঙ্গে বসানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা রাজি হননি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে শহরে সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, বাউফলে সব গ্রুপের র‌্যালী ঘোষণা করা হলে সকলকে সময় বেঁধে দিয়ে স্ব-স্ব স্থান থেকে র‌্যালী বের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থীত নেতাকর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে লাঠিচার্যসহ ২০ রাউন্ড গুলি বর্ষন করা হয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।

এছাড়াও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল পৌর শহরের কুণ্ডুপট্রি সড়কে তার দলীও কার্যালয়ে ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এভিআর গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসিব আলম তালুকদার কাছিপাড়া আব্দুর রসিদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে দরিদ্রদের ফ্রি চিকিৎসার আয়োজন করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :