ঘূর্ণিঝড় মোখা: বরগুনায় দুর্যোগ মোকাবিলায় যেসব প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরগুনা
 | প্রকাশিত : ১২ মে ২০২৩, ১২:৪১

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানলে এবং পরবর্তী সময়ে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন।এরমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, ত্রাণসহায়তা ও তথ্যসহায়তায় কন্ট্রোলরুমসব সব ধরণের পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সুবর্ণজয়ন্তী সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বরগুনায় ২৯৪ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি ত্রাণ বাবদ আট লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া ১৪২ বান্ডল ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ ব্যয় বাবদ চার লাখ ২৬ হাজার টাকা, দুই হাজার কম্বল ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় বরগুনায় মোট ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮৫টি, আমতলীতে ১১১টি, তালতলীতে ৫৩টি, পাথরঘাটায় ১২৪টি, বেতাগীতে ১১৪টি এবং বামনায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট দুই লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন।

এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহে কন্ট্রোলরুম চালু করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। কন্ট্রোলরুমের মোবাইল নম্বর ০১৭০০৭১৬৭২৫।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দু-একদিনের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে সুপার সাইক্লোনে রূপ নেওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখার ভয়ে আধা পাকা ধান কাটছেন কৃষকরা

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে বরগুনার পাথরঘাটা এবং তালতলী উপজেলার সব ইউনিয়ন, বেতাগী উপজেলার এক তৃতীয় অংশ ও সদর উপজেলার বদরখালী, ঢলুয়া, আয়লা পতাকাটা ও ফুলঝুড়ি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় বরগুনা জেলায় বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলের এলাকাগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এছাড়া ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে জেলার প্রায় শতাধিক মানুষ মারা যান।

(ঢাকাটাইমস/১২মে/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :