বখাটে ছেলের ঘুষিতে নাক ফাটল মায়ের

ফরিদপুরের নগরকান্দায় ঘুষি মেরে লিপি বেগম (৫০) নামে এক মায়ের নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তারই বখাটে ছেলে মো. মিঠুন খানের বিরুদ্ধে। আহত ওই নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার বাড়িতে রাখা হয়েছে। তবে তিনি নাকের যন্ত্রণায় বাড়িতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার তালমা ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লিপি বেগম ওই গ্রামের মৃত মিলন খানের স্ত্রী।
আহত লিপি বেগম অভিযোগ করে বলেন, শনিবার দুপুরে বেহগনি গাছ কাটা নিয়ে বড় ছেলে মিঠুন খানের (৩০) সঙ্গে আমার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায় ছেলে মিঠুন আমাকে মারধর করে ও ঘুষি মেরে আমার নাক ফাটিয়ে দেয়। এতে আমার নাক দিয়ে অনেক রক্ত বের হয়। এ সময় আমার মেয়ে মিলা আক্তার ঠেকাতে এলে তাকেও মারধর করে মিঠুন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার মেয়ে আমাকে স্থানীয় তালমা বাজারে ডাক্টার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে বাড়িতে এনে রাখে। কিন্তু আমার নাকে এখন অনেক ব্যাথা, সহ্য করতে পারছি না।
বোন মিলা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমরা দুই ভাই দুই বোন। ছোট ভাই রিপন খান কলেজে পড়ে। বড় ভাই মিঠুন নেশাখোর। বাবার সব সম্পত্তি তিনি একাই ভোগ করে। আর আমাদের ছোট তিন ভাই-বোনকে কিছুই ভোগ করতে দেয় না। আজ মাকে মারধর করার সময় আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও চুল টেনে ধরে চর-থাপ্পড় মারে। এর আগে গত এক বছরও আমার মায়ের হাত মুচড়িয়ে আহত করে মিঠুন। আমার এই নেশাখোর ভাইকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তবে অভিযুক্ত মিঠুন খান তার মাকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি মাকে মারধর করি নাই। মেরেছি শুধু বোনকে। মা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মারার নাটক করছে।
এদিকে স্থানীয়রা মাকে মারধরের এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মিঠুনকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১৫ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। মাকে মারধরের এমন ঘটনার অভিযোগ পেলে ওই ছেলের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/এসএম)

মন্তব্য করুন