জনসমর্থনহীন সংখ্যা দেখানোর জোট

সংখ্যার তুলনায় মানের দিকে সবকিছুতেই আমাদের নজর-বিশেষ করে পণ্য কেনাবেচা, বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংখ্যার তুলনায় মানকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমরা যারা রাজনীতির বাইরের মানুষ তাদের কাছে রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য ও কর্মপরিধি এক রকম, আবার যারা সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে জনগণের সেবা করতে চায়, দেশকে সেবা দিতে চায় তাদের নিকট রাজনীতির পথপরিক্রমা তথা রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞা ও পরিধি ভিন্নরকমের। স্বাভাবিকভাবে একটি রাজনৈতিক দলকে জনগণের কাতারে নিয়ে আসার তাগিদে যারা রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার পেছনে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন তাদেরকে সমসাময়িক ইস্যুতে অনেক বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হয়, খেয়াল রাখতে হয় জনগণের আশা আকাঙ্খার বিষয়ে। বিশেষ করে জনগণকে দলের সঙ্গে সম্পৃক্তকরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দলগুলো প্রকৃতঅর্থে আদৌ ভূমিকা রাখতে পাবে কিনা, জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা তারা কিভাবে তুলে ধরেছে, না কেবলমাত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েই তৎপরতা দেখায় এসব বিষয়াদি অত্যন্ত সূক্ষ্ণভাবে জনগণ যাচাই বাছাই করে থাকে।
রাজনীতিতে মেরুকরণ দেখা যায়, দলের স্বার্থে কিংবা ব্যক্তিস্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো একে অন্যের সঙ্গে জোট গঠন করে। এটা দোষের কিছু নয়, তবে সাধারণ জনগণ এসব জোটের ভোটের হিসাব নিকাশের সমীকরণ সাপেক্ষে অনেক সময় ভোট প্রদান করে থাকে। তাই জোট গঠনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি তাদের সমমনা প্রায় ৫৫টি দলের সঙ্গে জোট গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকগণ বিভিন্নভাবে বিএনপির জোট গঠনকে মূল্যায়ন করেছেন, তবে সাধারণ জনগণের মূল্যায়নই প্রকৃত মূল্যায়ন। কেননা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ভোটের মাঠের হিসাব নিকাশ বিভিন্ন পর্যালোচনা সাপেক্ষে রকমফের হয়ে থাকে।
৪ দলীয় গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য-এই জোটে যে চারটি দল রয়েছে সেগুলো হল-বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি। এ দলগুলো নাম সর্বস্ব ও একক ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল, সারাদেশে এ দলগুলোর তেমন পরিচিতি নেই, কর্মী সমর্থকও নেই। যারা রাজনীতি সচেতন, রাজনীতির নাড়ি নক্ষত্রের খোঁজ খবর রাখেন তাদের অনেকের এ সব দলগুলোর কার্যাক্রমের সঙ্গে তেমন পরিচয় নেই। এর মধ্যে পিডিপি দলীয় কার্যালয় ও কমিটি না থাকার পরেও নির্বাচন কমিশনে অসত্য তথ্য প্রদান করায় দলটির নিবন্ধন বাতিল হয় এবং বাকি ৩টির নির্বাচন কমিশন থেকে কোন নিবন্ধন নেই।গত ৩ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ৪ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে এবং বিএনপি ঘোষিত ২৭ দফার সঙ্গে ৪ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ একাত্নতা ঘোষণা করেন।
ব্নিপির সঙ্গে সম্প্রতি একাত্ন হওয়া ১৫ দলীয় সমমনা গণতান্ত্রিক জোট বিগত ৮ জানুয়ারি ২০২৩ সালে গঠিত হয়। মাঠ পর্যায়ে তৃণমূলে এদের কোন নেতাকর্মী ও সমর্থক নেই। সাধারণ জনগণ এ নামগুলো জানেনা, কেননা এদের দেশব্যাপী কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড নেই, নেই কোন রাজনৈতিক পরিচিতি। এই ১৫টি সংগঠনের মধ্যে ৪টি সংগঠন দিবস ভিত্তিক বা বিষয় ভিত্তিক ২/৩ বছর পর পর ঢাকাস্থ প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে নামমাত্র কয়েকজনকে নিয়ে ব্যানার ভিত্তিক সভা-সমাবেশ করে তাদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। এরা হল-বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম, জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল, জাতীয়তাবাদী চালকদল, ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ। এই ১৫ দলের অন্যান্য দলগুলো হল-জিয়া নাগরিক সংসদ, ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট, শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ জাস্টিজ পার্টি, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদ, গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ ৭১, মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল, দেশ রক্ষা মানুষ বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ। সম্মানিত পাঠক, আপনারাই বলুন তো, এই ১৫টি দলের কার্যকারিতা বাংলাদেশে কি আদৌ রয়েছে, এই দলগুলোর সাথে কি আপামর জনসাধারণের কোন যোগসূত্র রয়েছে? বিশ্বস্ত সূত্রের খবরে জানা যায়, জাতীয় ঐক্যফন্ট না থাকায় রাজনীতির মাঠে একা হয়ে যাওয়া নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া হিসেবে বিএনপির এই ১৫ দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরনের ২০০টি দলের সঙ্গে বিএনপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের পূর্বে সাধারণ ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে এ ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কিংবা সংখ্যার খোলসে জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার প্রয়াস কিনা সে ব্যাপারে কতিপয় রাজনৈতিক বোদ্ধারা মতামত দিচ্ছেন। তবে ডিজিটাল সময়ে ভোটাররা বেশ সচেতন ও দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা ভাবনা থেকেই ভোটের মাঠে প্রার্থী নির্বাচন করে ভোট প্রদান করে থাকেন।
উল্লেখ করার মত বিষয় হচ্ছে, বিএনপি ও সমমনা জোটে এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ও সংগঠনের মধ্যে মাত্র ৭টি দলের নিবন্ধন রয়েছে এবং জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা (একাংশ) এর নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির সঙ্গে জোটে আছে কিংবা সমমনা এমন একটি রাজনৈতিক গ্রুপ হচ্ছে গণতন্ত্র মঞ্চ (৭টি দল)। এ মঞ্চের ২টি দলের নিবন্ধন রয়েছে বাকি ৫টি দলের নিবন্ধন নেই। এতে বলা যায়, দলগুলো মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক তাদের উপস্থিতি জানান দিয়ে থাকে, দেশব্যাপী তাদের কর্মকান্ড তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন দিবসে কিংবা বিষয়ে দলগুলো প্রেসক্লাবভিত্তিক কর্মসূচি দিয়েই দায়িত্ব পালন করে থাকে। গণতন্ত্র মঞ্চের ৭টি দলের মধ্যে নিবন্ধন রয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ও বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির। বাকি ৫টি দল হচ্ছে, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
আরও কিছু রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা বিএনপির সঙ্গে সরাসরি জোটে নেই, কিন্তু বিএনপির দিকে ঘেঁষে থাকা। এমন রাজনৈতিক দলের মধ্যে নিবন্ধন রয়েছে কেবলমাত্র বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি’র। এছাড়া গণফোরাম, বাংলাদেশ জাসদ ও ন্যাশনাল পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী) এদের নির্বাচন কমিশনের কোন নিবন্ধন নেই। দলগুলো বিএনপির সঙ্গে কোন না কোনভাবে সমর্থন দিয়ে পাশে রয়েছে। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এসব দলের নিকট থেকে কর্মী সমর্থকদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হবে না এটা নিশ্চিত কেননা সারাদেশে এসব দলের জনসমর্থন নেই।
এছাড়া ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক সখ্যতা তৈরি হয়েছে, কিন্তু এদের মধ্যে ২টি দলের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন রয়েছে, বাকি ১০টি দলের নির্বাচন কমিশনের কোনরূপ নিবন্ধন নেই। দলগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (একাংশ) এ দুটি দলের নিবন্ধন রয়েছে। বাকি দলগুলো হল-জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (একাংশ), বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), বাংলাদেশ জাতীয় দল, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি, ইসলামী ঐক্যজোট (একাংশ), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা-একাংশ)-এ দলগুলোর কোন নিবন্ধন নেই। কিন্তু তারা আবার নির্বাচনী জোটে ১২ দলীয় জোট গঠন করে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির দলীয় কর্মীরা মনে করে, বিএনপির ওপর ভর করে এসব দলের নেতারা আলোচনায় আসতে চাইছেন, যদি নির্বাচনে যুগপৎভাবে এরা অংশগ্রহণ করে তবে তাদের মাধ্যমে সংস্দীয় আসনের বৈতরণী পার হওয়া কোনভাবেই সম্ভব না।
অন্যদিকে, ১১ দলীয় জোট নামে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট (মূলত ১০ দল) রয়েছে যাদের কোন দলেরই নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। দলগুলো হল-ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা-একাংশ), ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ ন্যাপ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ (একাংশ), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (একাংশ), গণদল, বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ/ন্যাপ-ভাসানী), পিপলস লীগ, বাংলাদেশ মাইনোরিটি জনতা পার্টি প্রভূত। কাজেই এসব দলের সমর্থন দেশব্যাপী কেমন রয়েছে সে বিষয়ে সকলেই অবগত, পাশাপাশি সমগ্র দেশে খুঁজে বেড়ালেও তাদের রাজনৈতিক অফিস পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। সে কারণেই এসব দলের সঙ্গে জোট করে রাজনৈতিক মাঠে সুবিধা পাওয়ার মত অবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো তৈরি হয়নি বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।
মনে হয়, দেশব্যাপী বিএনপির যে রাজনৈতিক সমর্থন আছে সেটিকে কাজে লাগিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের আন্দোলন সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করা উচিত। বিএনপি এ চেষ্টাটি না করে নামসর্বস্ব ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে গতি আনতে চেষ্টা করছে। এ বিষয়টি খুব একটা কাজে আসবে বলে মনে হচ্ছে না। কেননা, রাজপথে বিএনপি তেমন একটা দাঁড়াতে পারছে না, এর মূল কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে না। বিএনপি যে দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক জোট গঠনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেই দলগুলির দেশব্যাপী জনসমর্থনের অবস্থানগত অবস্থা নিয়ে মোটামুটিভাবে সকলেই অবগত। বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল।মোদ্দা কথা হচ্ছে, ভোটের মাঠে বিএনপি যাদের নিয়ে জোট গঠনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সেসকল সিদ্ধান্ত খুব একটা কাজে আসবে না, কেননা দলগুলোর তেমন রাজনৈতিক সমর্থন নেই এবং নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনও নেই। সারাদেশের ভোটাররা নামমাত্র হলেও দলগুলো সম্বন্ধে তেমন জানে না, চিনেও না দলের শীর্ষ নেতাকে। শুধু শুধু জোটে দলের সংখ্যা বাড়িয়ে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা বৃথা ছাড়া আর কিছু নয়। সে জন্যই বিএনপিকে নিজের দলের ওপর ভরসা করতে হবে, বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দল ও সংকট নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করে জনবান্ধব কর্মসূচি প্রণয়ন করে দেশের মানুষের সমর্থন আদায়ে প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।দলের বেশ কিছু নেতা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন, তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। শীর্ষ নেতৃত্বের সংকট রয়েছে দলটিতে, সেসব নিরসন করতে হবে। কমিটি প্রদানে বাণিজ্য, পকেট কমিটি গঠন, তৃণমূলের নেতৃত্বকে গুরুত্বহীন করে দেওয়া ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিএনপির কর্মী সমর্থকদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভকে নিরসন করার পরবর্তী সময়ে দলীয় কর্মীসমর্থকদের মতামতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রদান করা বিএনপির জন্য যুতসই হবে।
মো. সাখাওয়াত হোসেন, সহকারী অধ্যাপক ও সভাপতি, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সংবাদটি শেয়ার করুন
মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
মতামত এর সর্বশেষ

সন্তান, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা

পৃথক রাজ্য ‘জুমল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠার বায়না ধরেছে একদল চতুর দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী

শুভ জন্মদিন হাসু আপা

বাংলাদেশের ফুটবল ও নেতৃত্ব প্রশ্নে...

ধ্বংসস্তূপের শ্মশানেই রচিত হোক সৃষ্টির অমর মহাকাব্য

স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জননেত্রী শেখ হাসিনা

জনম ও জনকল্যাণে উৎসর্গীকৃত এক জীবন শেখ হাসিনার

শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনা

উন্নয়নের বঙ্গরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
