চুনারুঘাট থানা যেন শাকসবজি ও ফলের বাগান

নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০২৩, ১৪:১৭

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানায় প্রায় ৫০ শতক পতিত জমিতে সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুল হক। মাত্র ৪ মাসের চেষ্টায় থানা আঙিনা হয়েছে শাকসবজির বাগান।

সরেজমিনে দেখা যায়, লালশাক, ডাটাশাক, পুঁইশাক, পাট শাক, পেঁপেসহ রয়েছে অনেক রকমের শাকসবজি। এছাড়াও থানা আঙিনায় রয়েছে ২০ প্রজাতির অন্তত দেড় শতাধিক দেশি বিদেশি ফলের গাছ।

এদিকে থানায় এমন দৃশ্য সেবা নিতে আসা মানুষের নজর কেড়েছে। জানা গেছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে ওসি রাশেদুল হক ও অন্য পুলিশ সদস্যরা জমি পরিচর্যা করেন।

থানার পুলিশ কনস্টেবল রিপন মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, থানা এলাকার পশ্চিম দিকে ঝোপ জঙ্গল ছিল। চার মাস আগে ওসি স্যারের চেষ্টায় ঝোপ জঙ্গল পরিস্কার করে সবজি চাষ ও ফল গাছের চারা রোপন করা হয়। থানা আঙিনায় সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে অবসর সময়ে সবজি বাগান ও ফলজ বাগানে সকালে ও বিকালে আমরা সকলে উৎসাহ নিয়ে কাজ করি।

নারী কনস্টেবল তাপসী ও নাসরীন, সীমা আক্তার বলেন, সবজি বাগানের সামনে দাঁড়ালে মনে হয় নিজের বাড়িতেই আছি। ওসি রাশেদুর হক ঢাকা টাইমসকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন কোথাও বাড়ির পাশে কিংবা, আঙিনায় এক ইঞ্চি জায়গাও যেন খালি কিংবা পতিত না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণায় এ থানায় যোগদানের পরপর থানার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বাগানটি গড়ে তোলা হয়।

তিনি বলেন, নিজের হাতে উৎপাদন করা সবজি দিয়ে এ থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ৫০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হচ্ছে। আগামীতে থানায় পুলিশ সদস্যদের সবজির চাহিদা শতভাগ পুরণ হবে।

পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী বলেন, জমি পড়ে থাকতে দেখে সবজি, ফল ও ফুলের বাগান সৃজন করতে ওসিকে আহ্বান করি। আজ থানা প্রাঙ্গণে উৎপাদিত সবজি, ফল ও ফুলের বাগান দেখে মন ভরে যাচ্ছে।

সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, চুনারুঘাট থানা পরিবেশ বান্ধব। এখানকার ফল বাগান দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এ থানার ফল বাগান দেখে অন্য থানাও এ ধরনের বাগান করতে উৎসাহিত হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর ঢাকা টাইমসকে বলেন, ওসি রাশেদুল হক শুধু প্রকৃতি প্রেমিকই নন তিনি চার মাসেই জনগণের প্রত্যাশা পূড়ণে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে নিজের কর্মদক্ষতা ও বিভিন্ন ভালো কাজ করে রাশেদুল হক প্রশংসিত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, প্রায় ১০ একর জায়গার মাঝখানে থানা ভবন। ভবনের দুদিকে রয়েছে বিশাল দুটি পুকুর। নানা প্রজাতির মাছে ভরা পুকুর আর অপরপ্রান্তের পতিত জমিতে ২০১৪ সালের শেষের দিকে করা হয় আম বাগান। তৎকালীন পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্রের পরিকল্পনায় প্রথমদিকে এসব বাগান গড়েন এ থানার সাবেক ওসি অমূল্য কুমার চৌধুরী।

আরও পড়ুন: সরকারি পাটের বীজ নষ্ট হচ্ছে কৃষকদের বাড়ি ও ইউপির গুদামে, এখনো সার পাননি কেউ

পরে বাগানের হাল ধরেন তৎকালীন ওসি ও বর্তামান মাধবপুর সার্কেলের এএসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী। সে সময় রোপন করা তিন শতাধিক আম গাছ ছাড়াও থানা এরিয়ায় রয়েছে ৮০টি কাঁঠাল, ১৫টি লিচু, ৫টি আপেলকুল, ৫টি জলপাই, ৫৫টি নারিকেল, ৪টি দেশি বড়ই, ১টি তাল, ৪টি কাঁঠালী চাপা, ৫০টি মেহগনি, ২০টি মেনজিয়াম, ১২টি কড়ই, ১টি অরকেরিয়া, ২টি চাম কাঁঠাল গাছ।

(ঢাকাটাইমস/০৩জুন/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :