স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতে বন্ধুকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ জুন ২০২৩, ১৫:০৬| আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ১৫:২১
অ- অ+

রাজধানীর কদমতলীর পশ্চিম মোহাম্মদবাগ এলাকা থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, নিহত ইমন কাজীর সঙ্গে ঘাতক আল-আমিন শেখের স্ত্রীর পরকীয়া চলছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে ইমনকে হত্যা করা হয়।

৫ জুন বরিশালের হিজলা থানার গোবিন্দপুর খন্না এলাকায় আল-আমিনের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মামলার বরাত দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান বলেন, ‘গত ৩ জুন ডিএমপির কদমতলী থানার পশ্চিম মোহাম্মদবাগ সোনা মারিয়া জামে মসজিদের দক্ষিণপাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি শনাক্ত করার পরে নিহতের বাবা মো. লিটন কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবির ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনাল টিম । তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িতকে শনাক্ত করা হয়। সোমবার অভিযান চালিয়ে আল-আমিন শেখকে শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

যেভাবে হত্যা: গ্রেপ্তারকৃত ঘাতকের বরাত দিয়ে হত্যার বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নিহত ইমন ও আল-আমিন একসঙ্গে অটোরিকশা চালানোর সূত্রে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। ভুক্তভোগী ইমন ঘাতক আল-আমিনের বাসায় যাতায়াত করতেন। এই সুবাদে আল-আমিনের স্ত্রী মোছা. তানিয়া বেগমের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইমনের অটোরিকশায় তানিয়া বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করতেন। এ বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এরপর আল-আমিন প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন।

ইমনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার নেন আল-আমিন। পরবর্তীতে সেই টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন তিনি। পরে ৩০ মে ইমনকে কৌশলে বাসায় এনে কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। খাওয়ার পর তাদের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে ইমনকে ধাক্কা দিলে দেয়ালের সঙ্গে আঘাত খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। পরবর্তীতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

লাশ গুম যেভাবে: হত্যার পরে নিহত ইমনের অটোরিকশাটি গেন্ডারিয়া থানার গঙ্গা শাহ মাজারের সামনে ফেলে আসেন আল আমিন। পরে বাসায় এসে ঘুমান। ঘুম শেষে দোকান থেকে বস্তা কিনে বাসায় নিয়ে যান। এরপর বস্তায় লাশ ভরে নিজের অটোরিকশায় করে নিয়ে পশ্চিম মোহাম্মদবাগ সোনা মসজিদের পাশের একটি খালি প্লটে ফেলে আসেন। এরপর বরিশালের হিজলা উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৬জুন/এসএস/এফএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে ট্রল, দিনাজপুরের এএসপি প্রত্যাহার
‘গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি’
“চাঁদাবাজ যতই প্রভাবশালী হোক, পার পাবে না”
গোপালগঞ্জে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা