নির্বাচনের সময় হয়রানিমূলক কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ জুন ২০২৩, ২০:০২

অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া পদক্ষেপগুলো সংসদে তুলে ধরেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে করাকে নির্বাচন কমিশন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। সেই চ‌্যালেঞ্জ উত্তরণে নেওয়া পদক্ষেপের মধ‌্যে সব দলের নির্বিঘ্ন প্রচার, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থকদের ওপর হামলা রোধ ও হয়রানিমূলক মামলা না করাসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সংসদ কাজে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নির্বাচন আয়োজনের চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণের জন্য ইসির নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরেন মন্ত্রী।

ইসি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর মধ্যে রয়েছে—বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংবিধান ও নির্বাচনি আইন অনুযায়ী অধিকাংশজন যে সুপারিশগুলো করেছে তা বাস্তবায়ন। সব রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনী প্রচারকার্য নির্বিঘ্নে করতে পারে সে বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা। সরকারের কোনো সংস্থা কর্তৃক হয়রানিমূলক মামলা না করা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থক দ্বারা প্রার্থী, সমর্থক, তাঁদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আক্রমণ না করা এবং এমন হলে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া।

সিদ্ধান্তের মধ্যে আরও রয়েছে—নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সভা অনুষ্ঠান এবং নির্বাচনে তাঁরা যেন আন্তরিকতা ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন—সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান। ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনি এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন। নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার কোনো বিধি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এক্সিকিউটিভ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচনি আচরণবিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন। যোগ্য ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগসহ বিধিসম্মতভাবে প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপ করেছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান, আরপিও-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার আলোচনা, প্রচলিত বিভিন্ন আইন ও বাস্তবতার নিরিখে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন তৎপর রয়েছে।

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে আগ্রহ ব্যক্ত করে এসেছে। নির্বাচনের ফলাফল যাতে সব ভোটার ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়, অর্থাৎ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সব কার্যক্রম সংবিধান, আইন, বিধি অনুযায়ী গ্রহণ এবং যথাযথ প্রয়োগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব প্রার্থীর প্রতি সম-আচরণ, নির্বাচন কমিশনের অধিকসংখ্যক যোগ্য কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ, নিরপেক্ষ প্রিসাইডিং-সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী কারও বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি বা নির্বাচনী আইন ও বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।

ঢাকাটাইমস/০৮জুন/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

আ.লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপিত

পাবনার উন্নয়নে নতুন গতি এসেছে: রাষ্ট্রপতি

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সরকারের অর্জন নিয়ে ১১৩৭ ভিডিও প্রকাশ

শুভ জন্মদিন উন্নয়নের বাতিঘর

যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগে উন্নয়ন সংক্রান্ত সহস্রাধিক ভিডিও আপলোড

পর্যটন বিকাশে খাদ্যের নিরাপদতার জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি গুরুত্বপূর্ণ: আব্দুল কাইউম সরকার

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় জোর দেয়ার তাগিদ

বিসিবির কোন সে পরিচালক? কাকে ইঙ্গিত করলেন তামিম ইকবাল?

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :