কিছুটা নিম্নমুখি সবজির দাম, কমছে না পেঁয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৯ জুন ২০২৩, ১২:৩৯ | প্রকাশিত : ০৯ জুন ২০২৩, ১২:১৭

রাজধানীর বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে এখনো বেশ কিছু সবজরি দাম চড়া। এদিকে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হলেও এখনো খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। শুক্রবার রাজধানী বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা দিলু মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কম দামে সবজি কেনা যাচ্ছে। তারপরও বেশি দাম, আরও কমানো হলে আমাদের জন্য ভালো হবে এবং ক্রেতাদের জন্যও ভালো হবে।’

আরও পড়ুন>>খাতুনগঞ্জে পচা পেঁয়াজের কেজি ২৫ টাকা, ভালো পেঁয়াজ ৫০

দিলু মিয়া জানান, বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া পটল, করলা, তাল বেগুন, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, ঢেড়শ, মোটা লতি প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শান্তিনগর কাঁচা বাজার ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি ডায়মন্ড আলু ৪০ টাকা, বগুড়ার আলু ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, চায়না গাজর ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, চিকন লতি ৮০ টাকা, কেপসিকাম ২৫০ টাকা, কচুর মুখি ৯০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পুঁইশাকের আঁটি ৫০ টাকা, লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, ডাটাশাকের আঁটি ৩০ টাকা, লাউশাকের আঁটি ৪০ টাকা, পাটশাকের আঁটি ১৫ টাকা, কলমিশাকের আঁটি ১০ টাকা, কচুশাক ছোট আঁটি ১৫ টাকা।

এছা্ড়া লাউ আকার ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা, জালিকুমড়া প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি চির ৩০ টাকা, এলাচি লেবুর হালি ৩০ টাকা, কলম্বো লেবুর হালি ৩০ টাকা, কাগজি লেবুর হালি ৩০ টাকা, বম্বে মরিচের হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৭৭০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসি ১১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩১০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাল ডিম প্রতিটি ১২ টাকা, এক হালি ৪৮ টাকা ও ডজন ১৪০ টাকা। প্রতিটি হাঁসের ডিম ১৫ টাকা, এক হালি হাঁসের ডিম ৬০ টাকা ও ডজন ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙ্গাশ ২০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৮০ টাকা, রাজশাহীর কই ২৬০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ টাকা, মেঘনা নদীর চিংড়ি প্রতি কেজি ১১৫০ টাকা, ফলিমাছ ৪০০ টাকা, গুলশা টেংরা ৫৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, বড় টেংরা ৭০০ টাকা, কাতল ৩৫০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে আসা জাকির মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মাছ, মাংস, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রতিদিনের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হয় শুক্রবার সকালে। এই দুঃখ যে কাকে বলি, বাজার নিয়ে হতাশার মধ্যে আছি।’

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নাজিরশাইল পুরাতন ৮০ টাকা, নাজিরশাইল নতুন ৭০ টাকা, মিনিকেট পুরাতন চাল ৭৫ টাকা কেজি, মিনিকেট নতুন চাল ৭০ টাকা, আটাশ চাল ৬০ টাকা, হাস্কি চাল পুরাতন ৬০ টাকা, নতুন হাস্কি ৫৮ টাকা, পাইজাম চাল ৫৬ টাকা, গুঁটি চাল ৫২ টাকা, চিনিগুঁড়া আতপ চাল ১৪০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৫৫ টাকা, বিআর ২৯ চাল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজার এলাকার রহমান রাইস স্টোরের মালিক চাল ব্যবসায়ী রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘চালের দাম আগেই বাড়ানো হয়েছিল। এখন আর বাড়েনি। এজন্য আগের দামেই বিক্রি করছি।’

মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, তীর, রূপচাঁদা, ফ্রেস সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯৯ টাকা এবং পাঁচ লিটারের ৯৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ইন্ডিয়ান শুকনো মরিচের কেজি ৫০০ টাকা, তেজপাতা ২৫০ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৫০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ১১০ টাকা, ইন্ডিয়ান এঙ্কর ডাল ৮০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ার ছোলা ৯০ টাকা, দেশি আদা ৩৫০ টাকা, আমদানি করা চীনা আদা ৫০০ টাকা, মিয়ানমারের আদা ৩৬০ টাকা, ভিয়েতনামের আদা ৩০০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ার আদা ৩২০ টাকা, থাইল্যান্ডের আদা ৩৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, দেশি রসুন ১৬০ টাকা, চায়না রসুন ১৭০ টাকা, জিরা ৯০০ টাকা, এলাচ ৪০০০ টাকা, ধনিয়া ২২০ টাকা, লবঙ্গ ১৮০০ টাকা, গুঁড়া মরিচ ২৯০ টাকা, দারুচিনি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে রামপুরা বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নয়ন তালুকদার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০-১০০ টাকা। আজ ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। দাম বাড়ানোর সময় এক লাফে বেড়ে যায়। আর কমানোর সময় কচ্ছপ গতিতে কমানো হয়।’

নয়ন তালুকদার বলেন, ‘বাজারে একটা পণ্যের দাম কমলে আরেটার দাম বেড়ে যায়। বলতে গেলে একটা ইস্যু শেষ হতে না হতে আরেকটা শুরু হয়ে যায়। এরকম চলতে থাকলে আমরা গরিব মানুষ কই যাব?’

তিনি আরও বলেন, ‘এখনও পেঁপে ৬০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। বাজারে গেলে বলে ৯০ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। বাড়ানো হলো তিনগুণ আর কমানো হলো একগুণ!’

রাজধানীর ঝিলকানন এলাকার বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বাজারে সব কিছুর দাম বাড়তি। এখন যে পণ্যের দাম কমানো হচ্ছে, সেই পণ্যগুলোর দাম আগেই অতিরিক্ত বাড়ানো হয়েছে। ঘুরে ফিরে আমার মতো ভোক্তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মাস শেষে যা আয় হয় এরচেয়ে বেশি ব্যয় হয়ে যায়। ফলে মহাবিপদে আছি।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা তো মাঠে সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও কাজ করে যাব।’

(ঢাকাটাইমস/৯জুন/পিআর/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :