সিদ্ধিরগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাসিকের যে প্রস্তুতি
দেশব্যাপী ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়ছে হু হু করে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন অনেকে। তাই সচেতনতার কোনও ত্রুটি না রাখতে নিষেধ করে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তাররা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জেও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষজন। তাই জনস্বার্থে এখানকার জনপ্রতিনিধিরাও বিভিন্ন উদ্যোগের পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিকের) মধ্যকার প্রথম ১০টি ওয়ার্ড রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জে। সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী ২ লাখ ৫৬ হাজার মানুষের বসবাস এখানে।
জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জে ইতোমধ্যে কয়েকজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে কথা হয় মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার বাসিন্দা বীথির সঙ্গে। তিনি জানান, দীর্ঘ ৬ দিন ধরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। ডাক্তারের পরামর্শে বৃহস্পতিবার সকালে বাসায় ফিরেন।
গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
নাসিক ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন, ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়ার খবর শোনামাত্রই আমরা আমাদের পুরো এলাকাজুড়ে মশা নিধনের ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানো শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আমরা সর্বক্ষণ প্রস্তুত রয়েছি।
নাসিক ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিএম সাদরিল বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পক্ষে থেকে আমার ওয়ার্ডে মশক নিধন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার যেসব স্থানে মশার উৎপাদন হয়ে থাকে সেসব স্থানে লিকুইড এবং ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আমার জানামতে এখানে কেউ এখনো ডেঙ্গু রোগে শনাক্ত হয়নি। ইতোমধ্যে আমাদের ওয়ার্ডে পাঁচজন মশক নিধন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মশার ওষুধ দিচ্ছে।
৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান জানান, ডেঙ্গু রোগের জন্য ইতোমধ্যে আমরা স্প্রে দেওয়া শুরু করেছি। পুরো এলাকাজুড়ে সচেতনামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের এখানকার যতগুলো মসজিদ, মাদরাসা রয়েছে সেখানে লিফলেট বিতরণ করছি।
আরও পড়ুন: উলিপুরে ধান সংগ্রহে অনিয়ম তদন্তে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য!
তিনি বলেন, আমাদের আদমজী এলাকার বড় খালটিতে কচুরিপানায় ভরে আছে। এটার জন্য ডেঙ্গু সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি।
(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/এসএম)