ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে আমরাও প্রস্তুত: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৩১

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে আমরাও প্রস্তুত আছি।

তিনি বলেন, বিএনপির তিন নেতা বিদেশে গেছে, আবার জাতীয় পার্টিও বিদেশে গেছে। নির্বাচন এলে অনেক কিছুই হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্র ও মানুষ পোড়ানোর রাজনীতির করবেন না।

সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে শান্তি উন্নয়ন সমাবেশ এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিট বাংলাদেশ আইইবি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু মাত্র তিন বছর সাত মাস ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি দেশ গঠনকে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাকে বাঁচতে দেওয়া হয়নি। মীরজাফরের জায়গায় মোশতাক আরও সেনাপতি ইয়ার লতিফের জায়গায় জিয়াউর রহমান ভূমিকায় পালন করছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেয়নি।

কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার করার সাহস না দিতো তাহলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে সাহস পেত কিনা আমার সন্দেহ লাগে। হত্যা হত্যাকে ডাকে। একটা গোষ্ঠী জিয়াউর রহমানকেও হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান নিজেও বাঁচতে পারেনি। যে বুলেটে শেখ হাসিনা ও রেহানাকে পিতৃহারা করেছে সেই বুলেটই খালেদা জিয়াকে বিধবা করছে। হত্যা হত্যাকে ডাকে আনে।

‘আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বহুবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে যদি জড়িত না থাকে তাহলে তিনি কোন ইনডেমনিটি জারি করলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের কেন বিভিন্ন দূতাবাসের চাকরি দিয়েছিল। তিনি বাঁচতে পারেনি। হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হত্যা ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড হলো জিয়াউর রহমান ও মোশতাক। সেই জিয়াউর রহমান ও মোশতাক জেল হত্যা মাস্টারমাইন্ড। তা তদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছেন। একটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযু্দ্ধের আর্দশকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্য ছিল। ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে মারতে পারেনি বলেই ২১ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল। জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করা হয়েছে।

‘তারেক রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছে। লন্ডনের টেমস নদীর ওপার থেকে ডাক দিলে মনে হয় বাংলাদেশ পানিতে ভেসে যাবে কিন্তু তা কখনো হবে না। বিএনপির বলেছিল ১০ তারিখে খালেদা জিয়া দেশ পরিচালনা করবে, ১১ তারিখে তারেক রহমান দেশে আসবে। কোথায় গেলে সেই কথা। যে আন্দোলনের সঙ্গে জনগণ নেই সেই আন্দোলনে সফল হয় না। এটা পৃথিবীর কোথাও নাই যে গণআন্দোলন জনগণ ছাড়া সফল হয়েছে।’

বাংলাদেশ যে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেছে সেখানে প্রকৌশলীদের অবদান আছে বলে উল্লেখ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মাত্র তিন থেকে তিম মাস আছে। এর মধ্যে অনেক দূর যেতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে। বিএনপির তিন নেতা বিদেশে গেছে। রাজনৈতিক আলোচনা দেশে হোক আর বিদেশি হোক ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যেন না হয়। রাজনীতি করেন, দয়া করে ষড়যন্ত্র করবেন না, রাজনীতি করেন দয়া করে মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করবেন না। ১৩-১৪ সালের মতো মানুষ পোড়ানোর রাজনীতির করবেন না দয়া করে।

আবার যদি বিএনপি ক্ষমতায় যায় তাহলে তারা গণতন্ত্র গিলে খাবে। তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করবে। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে এদেশে পাকিস্তান বানাবে। নির্বাচনের মাত্র চার মাস আছে তাই আপনাদের (প্রকৌশলী) দাবি দেওয়ার বিষয় আমরা বুঝি। কিন্তু এখন দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরা ও প্রস্তুত আছি।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইন্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক মনজু।

এসময় আরও বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নুরুল হুদা,বঙ্গবন্ধুর প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, ইন্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সহ-সভাপতি নুরুজ্জামানসহ অনেকেই।

ঢাকাটাইমস/২৮ আগস্ট/জেএ/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :