এখনও এপিবিএনে যোগ দেননি হারুন

নারীঘটিত বিষয়ের প্রতিবাদ করায় শাহবাগ থানায় ধরে এনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারপিটের ঘটনায় এপিবিএনে বদলি হওয়া রমনা জোনের সাবেক এডিসি হারুন অর রশীদ এখনও কর্মস্থলে যোগ দেননি। তিনি এখনো ডিএমপি সদরদপ্তরে সংযুক্ত রয়েছেন। তবে তাকে কোনো ধরনের দায়িত্বে রাখা হয়নি। রবিবার ডিএমপির রমনা জোনের এডিসির পদ থেকে সরিয়ে পিওএম উত্তর বিভাগে সংযুক্ত করার কয়েক ঘণ্টা পর এপিবিএনে বদলি করে পুলিশ সদরদপ্তর।
সোমবার বিকালে এপিবিএনের একজন ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ঢাকা টাইমসকে বলেন, 'অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে বদলি হওয়া হারুন অর রশীদ এখনো আমাদের এখানে যোগ দেননি। কিছু নিয়ম আছে, সেটা মেনেই তিনি এখানে আসবেন।'
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি, মিডিয়া) ফারুক হোসেন ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন রমনা জোন থেকে এডিসি হারুনকে ক্লোজ করে বর্তমানে পুলিশ সদরদপ্তরে রাখা হয়েছে। তিনি কোনো দায়িত্বে নেই। তবে আগামীকাল হয়ত তিনি এপিবিএনে যোগ দেবেন।
সোমবার বিকালে ডিএমপির যুগ্মকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, 'কোনো ব্যক্তির দায় পুলিশ নেয় না। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর কাকে কতটুকু দায়ী করবে তার ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ চাকরিচ্যুত হতে পারে কেউবা তিরস্কারও হতে পারে।'
এদিন বেলা সাড়ে বারোটার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। প্রায় আড়াইঘন্টা এ বৈঠক চলে। শেষে বেরিয়ে দলটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ডিএমপির তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা রাখছি। এই ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এদিকে একটি সূত্র ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছে, ডিএমপির করা তদন্ত প্রতিবেদন শেষে হারুনকে বরখাস্ত করা হতে পারে। এরইমধ্যে তদন্ত কমিটি ঘটনার দিনে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে।
গত শনিবার রাতে নারীঘটিত বিষয় নিয়ে ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে থানায় ধরে এনে নির্যাতন করেন এডিসি হারুন। এতে নাঈমের পাঁচ দাঁত উপড়ে যায়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে ডিএমপি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/এসএস/ইএস

মন্তব্য করুন