পেঁয়াজ-রসুনের বেশি দাম নিয়ে যা বললেন কৃষিমন্ত্রী
নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি নেই দীর্ঘদিন ধরেই। ডিম-মাছ-মাংসের পাশাপাশি কাঁচাবাজার, এমনকি পেঁয়াজ ও রসুন কিনতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বাজারের এমন নাজেহাল অবস্থায় সাধারণ মানুষ ভালো নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বলেন, ‘প্রতিদিনই আমরা খবরে দেখছি পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেশি। কম আয়ের মানুষ, বিশেষ করে যারা রিকশাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা- তাদের পেঁয়াজ ও রসুন কিনতে গিয়ে অনেক খরচ করতে হচ্ছে।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে আইডিইবি এবং বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) আয়োজিত ‘কৃষি বিপ্লব ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব বলেন।
দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্য ব্যবস্থা করা চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করা যে কত বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য এটা বলার ভাষা জানা নেই। তারপরও আমরা কিন্তু ১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াচ্ছি। গতকালও আমি কয়েকজন মিলারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম মিলাররা খুব খারাপ অবস্থায় আছেন, কারণ তারা চাল কিনেছিলেন, ধান কিনেছিলেন, মনে করেছিলেন অনেক বেশি লাভবান হবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দাম আরও কমের দিকে। এখন সব মিলার সরকারকে চাল দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।’
মন্ত্রী বলেন ‘বাজারে চালের দাম সরকার ঘোষিত দামের চেয়ে আরও কম। আবার অনেক বছর এমন হয়, আমি নিজেও খাদ্যমন্ত্রী ছিলাম, মিলাররা আমাদের সঙ্গে চুক্তি করেও চাল সরবরাহ করেননি। তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয়, বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়োজিত করা হয়। এরপরও তারা চাল দেন না, কারণ বাজারে দাম বেশি থাকে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই প্রতিকূল পরিবেশ কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তার জন্য বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবন করতে হবে যে, কোন ফসল বাংলাদেশে ফলানো সম্ভব। সার্বিক উন্নয়নে আমরা একটি বিপ্লব শুরু করবো। কৃষিকে গুরুত্ব দেওয়ার ফলে খাদ্য ব্যবস্থাপনায় দেশ খুব ভালো অবস্থায়।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় শক্তিশালী বিরোধীদল চাই। আন্দোলন সংগ্রাম করে সরকারকে হটাতে পারবেন না। গত ১৪ বছরে পারেননি, এক-দেড় মাসেও পারবেন না। জনগণ যে রায় দেবে আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত। তাই বলছি আপনারা নির্বাচনে আসুন।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/এলএম/কেএম)