তামিমকে বিশ্বকাপ দলে রাখলে খেলবেন না সাকিব? সত্যিই কি এমন শর্ত তাঁর? কেন?
আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩ তম আসর। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড—বিসিবি।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় ওয়ানডে শেষে মঙ্গলবারই দল ঘোষণার কথা রয়েছে।
তবে দল ঘোষণার আগে সাকিব-তামিম ইস্যুতে উত্তপ্ত দেশের ক্রিকেট অঙ্গন। সোমবার তিবাগত রাতে হঠাৎ করে দেশের একাধিক গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে বিশ্বকাপে খেলতে চান না সাকিব-তামিম। যা নিয়ে হঠাৎ করে দেশের ক্রিকটেপাড়া উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
অবসর ভেঙে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে আবারও জাতীয় দলে ফিরেছেন তামিম। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস। ম্যাচ শেষে কথা বলেন নিজের ফিটনেস নিয়েও। জানান, এখনও শতভাগ ফিট নন তিনি।
সূত্রের খবর, ম্যাচের পর তামিম কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতির সঙ্গেও। জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ খেলবেন তিনি। অথচ সূচি অনুযায়ী বিশ্বকাপে অন্তত ৯টি ম্যাচ খেলতেই হবে বাংলাদেশকে।
দলের তারকা ব্যাটারের এমন শর্ত শুনে চটেছেন তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিসিবি সভাপতিকে সাকিব জানান, এমন হলে তিনি বিশ্বকাপে খেলবেন না।
সোমবার গভীর রাতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের বাসায় বৈঠক করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বোর্ড সভাপতিকে তারা জানিয়ে দেন বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে তারা কোনো ‘আনফিট’ বা ‘অর্ধেক ফিট’ ক্রিকেটারকে দলে চান না। এমনকি তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ কেউও হলেও।
মূলত সাকিব চাইছেন দলে আনফিট বা ‘অর্ধেক ফিট’ কাউকে না রাখতে। কেননা মাত্র শেষ হওয়া এশিয়া কাপে খেলোয়াড়দের ইনজুরি অনেক ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপ থেকে দেশে ফিরে আসতে হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। এবাদত হোসেন এশিয়া কাপে জায়গা পাননি ইনজুরির কারণে। জ্বরের কারণে দলের সঙ্গে শুরুতে যোগ দিতে পারেননি লিটন দাস।
তাই বিশ্বকাপের মতো আসরে কোনো আনফিট খেলোয়াড়কে দলে চাইছেন না সাকিব। কেননা এতে দল সমস্যায় পড়তে পারে। দলের স্পিরিট ধরে রাখতেই বিশ্বকাপ দলে শতভাগ ফিট খেলোয়াড়দেরই চাইছেন অধিনায়ক সাকিব।
তবে বিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, সাকিবের শর্ত ছিল তামিমকে রাখলে তিনি খেলবেন না। যদিও জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সেঙ্গে দেখা হওয়ার সময় সাকিব কথা দিয়েছিলেন তামিমকে দলে রাখলে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না।
তবে টিম ঘোষণার নাটকীয়তা দেখে মনে হচ্ছে, তামিম যে বিশ্বকাপের বাংলাদেশ স্কোয়াডে নেই এর পেছনে ভূমিকা রেখেছেন সাকিক আল হাসান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সচেতন ক্রীড়ামোদীরা তামিমকে ঘিরে দুষছেন অলরাউন্ডারকে।
(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এনবিডব্লিউ/ডিএম)