১৩ মাসে ২৪১ কোটি পাচার, টেলেক্স এমডি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

১৩ মাসে ২৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৯ টাকা (৩ কোটি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৯৩ মার্কিন ডলার) পাচারের অভিযোগে টেলেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে রবিবার দুদক কার্যালয়ে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান।
দুদক সচিব বলেন, ‘আসামি টেলেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তারা বিটিআরসির আইজিডাব্লিউ লাইসেন্সধারী অপারেটর হিসেবে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের মূল্য বাবদ ২৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৯ টাকা পাচার করেছেন। আনয়নযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশ হতে বাংলাদেশে না এনে মানিলন্ডারিং আইনে তারা অপরাধ করেছেন।’
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আসামিরা টেলেক্স লিমিটেড নামে বিটিআরসি থেকে একটি অনুমোদন নেন এবং বিদেশি যে ইনকামিং কল ছিল সেই কলের রেট বাবদ একটি চার্জ বাংলাদেশে ফেরত আনার কথা। তারা সেটি না করে অর্থাৎ বাংলাদেশে ফরেন রেমিটেন্স হিসেবে না পাঠিয়ে ওই টাকাটা বিদেশে রেখে দেন।’
‘মানিলন্ডারিং আইনের প্রতিরোধ ধারায় তারা অপরাধ করেছেন এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ এর ২ ও ৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
মামলার পরবর্তী কার্যক্রম কি হবে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে মামলাটি হলো। মামলা হওয়ার পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা যিনি হবেন তিনি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তদন্ত কাজ শুরু করবেন এবং আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ’
টাকাগুলো ফেরত আনার প্রক্রিয়া কি হবে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে কমিশনের অনুমোদক্রমে যে প্রতিবেদন করবেন সেটা আদালতে দাখিল করা হবে। আদালতের মাধ্যমে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহন করা হবে। ’
‘আজকে একটি অভিযোগের বিষয়ে মামলা দায়ের হলো। আরো যদি এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় বা কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় অবশ্যই একইভাবে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’—যোগ করেন কমিশন সচিব।
(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/জিএম/ডিএম)

মন্তব্য করুন