অদ্ভুত ঘটনা
লাশ উঠে বসল, পানি চেয়েও খেল! তারপর?

বিচিত্র এই পৃথিবীতে কত অদ্ভুত ঘটনাই না ঘটে। যার বেশিরভাগেরই কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। সোমবার (৬ নভেম্বর) ভারতের পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে ঘটে গেল তেমনই এক অদ্ভুত ঘটনা। একটি লাশ উঠে বসলেন, পানিও খেলেন! তারপর কী হলো?
পরিবারের দাবি, ছোটন সরদার নামে এক যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল হাসপাতাল থেকে। এরপর মরদেহটি বাড়ি নেওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে লাশটি হঠাৎই নড়ে ওঠে। উঠে বসে পানি চেয়েও খায়। তারপর আর সাড়াশব্দ দেয়নি। আবার নিথর হয়ে যায়।
এমনটাই দাবি ওই পরিবারের। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিত্তিহীন কথা বলা হচ্ছে। মৃত অবস্থাতেই নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসক ময়নাতদন্তের কথা বলতেই পরিবারের লোকজন মরদেহ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
পরিবারের দাবি, সোমবার ভোর তিনটা নাগাদ ছোটনের বুকে ব্যথা হয়। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সরকারি হাসপাতাল থেকে তাকে ওষুধ আর ইঞ্জেকশন দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর মাঝরাস্তায় ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবক।
হেঁচকি উঠতে থাকে ছোটনের। সমস্যায় পড়ে যায় পরিবার। ক্রমেই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে।ফের তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবার যুবককে দেখেশুনে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। স্বাভাবিকভাবেই এরপর কান্নার রোল পড়ে যায়।
বাড়িতে মরদেহ নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। তাদের দাবি, সাদা কাপড়ে ঢাকা ছিল দেহ। আচমকাই পানি চায় ‘মৃতদেহ’ ছোটন। কিন্তু তিনি তো মারা গেছেন! এমনকি সেই পানি তিনি খেয়েছেন বলেও পরিবারের দাবি।
কিন্তু তারপর আর কোনো সাড়াশব্দ মেলেনি। যদিও শেষ চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। আরও একবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার শেষ চেষ্টা করা হয়। তবে শেষবেলায় আর সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার ভরসা পাননি পরিবারের লোকজন।
এরপর ছোটনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে পরিবার। কিন্তু তারপর আর তার নিথর দেহ নড়ে ওঠেনি। ফলে সোমবারই ছোটনের শেষকৃত্য করা হয়।
(ঢাকা টাইমস/০৭নভেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন