বিএনপি দেশ ও জাতির শত্রু: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি দেশ ও জাতির শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি মানুষ নয়, এখন এরা জঘন্য সন্ত্রাসী। তাদেরকে প্রতিহত করা উচিত। এরা দেশ, জাতি ও জনগণের শত্রু।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসীদের নির্মূলে আমরা বদ্ধপরিকর।’

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনীতি এবং করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। সেমিনারের আয়োজন করে ব্রিগেড ৭১।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত। পুলিশ হত্যা করলো, হাসপাতালে হামলা করল, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করল, অগ্নিসংযোগ করে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছে। যারা এসব করছে তাদের কাউকে রেহাই দেওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল যেভাবে গাজায় হামলা করেছে ঠিক সেভাবে বিএনপি পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছে। অ্যাম্বুলেন্সসহ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্তা করেছে। যারা এসব করেছে তারা তো অপরাধী। এখন তারা কর্মসূচি ঘোষণা করছে অনলাইনের মাধ্যমে এবং সেই কর্মসূচির মূল হচ্ছে অবরোধের নামে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো। মানুষের ওপর আক্রমণ করা। এরা দেশ-জাতি-সমাজের শত্রু। এজন্যই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শেষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত এই গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না, তারা সন্ত্রাসী হয়ে গেছে।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গর্তের মধ্যে যারা ঢুকেছে তাদেরকে ধরে এনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া জনগণের দায়িত্ব। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে গেছে। বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এরা সন্ত্রাসী দল।’

‘২০০৮ সালে জনগণের ভোটে ভূমিধস বিজয়ের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেই থেকে দেশ আজ পর্যন্ত উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলছে। আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। আজ মানব উন্নয়ন, অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্যসূচকে আমরা পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। ২০২১ সালে জিডিপি পার ক্যাপিটা ইনকামে ভারকেও পেছনে ফেলেছি। পাকিস্তানের শাসকরা এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।’

ব্রিগেড ৭১ এর আহ্বায়ক রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদার। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এছাড়া বক্তব্য রাখেন লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুননূর দুলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/৭নভেম্বর/জেএ/এফএ)