বিটিসিএলের ভারপ্রাপ্ত এমডি আসাদুজ্জামান সাময়িক বরখাস্ত

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
দরপত্র বাতিলের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ না হয়েও এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে দরপত্র বাতিল করায় এবং অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান চৌধুরী ফাইভ-জি উপযোগীকরণে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আহ্বান করা ‘টেন্ডার অব সাপ্লাই ইন্সটলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং অব এএসওএন বেজড ডিডাব্লিউডিএম ট্রান্সমিশন সিস্টেম অন টার্ন কি বেসিস’ শীর্ষক দরপত্রে সব আবেদনকারীকে বাতিলপূর্বক পিপিআর-২০০৮-এ বর্ণিত সময়সীমা ১৫ দিন না মেনে ৫৫ দিন পরে পুনঃদরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে ত্রুটি বিচ্যুতি সংশোধনের পর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হলেও সেটি অনুসরণ করেননি তিনি।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এমন সিদ্ধান্ত বিধিবহির্ভূত এবং অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এমন আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর খ, অ, আ, ই, উ মোতাবেক ‘অসদাচরণ’, যা বিধিমালার বিধি-৩ (খ) ও (ঘ) অনুযায়ী দণ্ডযোগ্য অপরাধ।
এই কারণে আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ১২(১) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, আসাদুজ্জামান চৌধুরী এ বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে অতিরিক্ত দায়িত্বে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিটিসিএলের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ফিন্যান্স) আনোয়ার হোসেনকে অতিরিক্ত দায়িত্বে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৯নভেম্বর/এমআই/এফএ)

মন্তব্য করুন