দিনাজপুরে মেস থেকে কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

দিনাজপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৬

দিনাজপুর শহরে মেস থেকে লিপি রায় (২৮) নামে এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার পৌরসভাস্থ মির্জাপুর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন আলোড়ন ছাত্রী নিবাস থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ ও ছাত্রী নিবাসে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিপি রায় ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে বাংলায় মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। চাকরির প্রিপারেশনের জন্য গত এক বছর যাবত ম্যাচে অবস্থান করছিলেন। নিহত লিপি রায় ঠাকুরগাঁও জেলার ভাওয়াল ঘাট এলাকায় রাজ কুমারের মেয়ে।

ম্যাচের একটি কক্ষে নিহত লিপি রায় ও তার ছোট বোন একত্রে থাকতো। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিহত লিপি রায়ের ছোট বোন ভাই ফোটা উপলক্ষে বাসায় চলে যায়। ছোট বোনের অনুপস্থিতিতে বড় বোন লিপি রায় মৃত্যুর পুর্বে হ্যান্ড নোট লিখে রেখে সিলিংয়ে সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন ও কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ হোসেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন প্রাথমিক তদন্ত শেষে ছাত্রী নিবাসে অবস্থান করা অন্যান্য ছাত্রীদের একত্র করে আত্মহত্যার প্রবণতা হ্রাসে সংক্ষিপ্ত কাউন্সিলিং করেন। এ সময় তিনি মোবাইলের আসক্তি ও মোবাইল ব্যবহারে সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বনের দিক নির্দেশনা দেন।

নিহত লিপি রায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী লাকি জানান, নিহত লিপির হরেশ চন্দ্র রায় নামে এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তার পারিবারিকভাবে অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত উজ্জ্বল নামে এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। লিপি বাবা-মায়ের পছন্দেই বিয়ে করতে রাজি হন। কিন্তু লিপির বন্ধু হরেষ চন্দ্র তার সঙ্গে লিপির সম্পর্কের কথা বলে পারিবারিকভাবে ঠিক করা বিয়ে ভেঙে দেয়। হতাশা আর আক্ষেপেই লিপি আত্মহত্যা করেছে বলে তারা মনে করেন।

কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ হোসেন বলেন প্রাথমিকভাবে তদন্ত ও সুরতহাল শেষে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লিপির মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আলোড়ন ছাত্রী নিবাসের মালিক দিনাজপুর গার্লস স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, নিহত লিপি রায় এক বছর থেকে চাকরির জন্য প্রস্তুতি কোচিং করতে আমার ম্যাচে ওঠে। সে তার ছোটবোনের সঙ্গেই এক কক্ষে থাকতো। মৃত্যুর আগে সে একটি সুসাইড নোট দিয়ে গিয়েছে। তবে তার আত্মহত্যার প্রকৃত কারন পুলিশি তদন্তেই স্পষ্ট হবে বলে জানান।

(ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :