নির্বাচনের মহাসড়কে উন্নয়নমুখী বাংলাদেশ
![](/assets/news_photos/2023/11/22/image-332120.jpg)
গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার সোপান সামনে রেখে বাংলাদেশ এখন নির্বাচনমুখী। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা বেড়ে যায়। অনেকেই এমপি হতে চান। নিবন্ধন নেই, এলাকায় কোনো কাজ করেননি, মানুষজন তাদের চিনে না- তারপরও এমপি হওয়ার খায়েশ! মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার আজব সময় এই নির্বাচন। কিন্তু একথা সত্য সেই সময় এখন আর নাই। মানুষ এগিয়েছে। তাদের হাতে হাতে এখন মোবাইল ফোন। তারা গুগল সার্চ করে এখন দেখে নিতে পারে বিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের সূচক। দেখতে পারে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ এখন কত নম্বরে! বাংলাদেশের নির্বাচনে এখন ভোটের দুটি পক্ষ। আওয়ামী লীগের ভোট। আর এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট। এই যে এন্টি আওয়ামী লীগ; এরা কারা? কী ভূমিকা ছিল তাদের অতীতে? ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর নামে এবং তা না পেরে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত জোট যে সহিংসতা ও তাণ্ডব চালিয়েছিল, তার সঙ্গে শুধুমাত্র একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের সহযোগী রাজাকার-আলবদরদের তাণ্ডবের সঙ্গেই তুলনা চলে। যা পুরো দেশের মানুষ তখন দেখেছিল। সেই সময়ের বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবের বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা এবং বিএনপি নেত্রী আদালতে হাজিরায় অনুপস্থিত থাকার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াত অনির্দিষ্টকালের অবরোধ শুরু করে সারা দেশে তাণ্ডব ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। পেট্রল বোমায় ২৩১ জন নিরীহ মানুষ নিহত এবং ১ হাজার ১৮০ জন আহত হয়। ২ হাজার ৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি রেল গাড়ি ও ৮টি লঞ্চে আগুন দেওয়া হয়। পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে ৭০টি সরকারি অফিস ও স্থাপনা ভাঙচুর এবং ৬টি ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ ও পেট্রোল বোমার শিকার হয়ে নিরীহ বাসড্রাইভার, বাস-টেম্পো-সিএনজি যাত্রী, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ-বিজিবি-আনসার, সেনাবাহিনীর সদস্য, এমনকি স্কুলের শিক্ষক ও শিশুও নিহত হয়েছে। অনেকে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন, জীবনের তরে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়েছেন। আজ কেমন আছেন তারা? তা কি জানতে চেয়েছেন আজকের রাজনীতিক মির্জা আলমগীর ও মান্না-রবরা? আরেকটু পেছনে ফিরে দেখি। পূর্ণিমা রানী শীলের কথা মনে আছে? সেই ছোট্ট কিশোরী পূর্ণিমা- যাকে সংখ্যালঘু বা হিন্দু হওয়ার ‘অপরাধে’ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করেছিল বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা। সেই পূর্ণিমা এখন আর ছোট্টটি নেই, অনেক বড়ো হয়ে গেছে সে, বয়স এখন প্রায় ত্রিশ বছর বয়সি। সেই পূর্ণিমাকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম নিজের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
২০০১ সালের ঘটনা, অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে সবেমাত্র। ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। গদিতে বসতে দেরি, অত্যাচারের স্টিম রোলার চালাতে দেরি হয়নি দলীয় ক্যাডারদের। আর সেই নৃশংস অত্যাচারের শিকার সবচেয়ে বেশি হয়েছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ধরে নেওয়া হয় যে, হিন্দু বা সংখ্যালঘু ভোটারেরা আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক, একারণেই তাদের ওপর ক্ষোভটা বেশি ঝেড়েছিল প্রতিপক্ষ দলটার কর্মীদের অনেকে।
এদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কোনো শাস্তি নেই, সংখ্যালঘুদের খুন-ধর্ষণের কোনো বিচারও নেই। তবে পূর্ণিমা বিচার পেয়েছিলেন, সেই বিচারের জন্য তাকে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছিল দীর্ঘ দশ বছরেরও বেশি সময়। ২০১১ সালে আদালত সতেরো আসামির মধ্যে এগারোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েদের প্রতি আমাদের সমাজ বা মানুষজন বেশ নির্মম। একাত্তরের বীরাঙ্গনারাও রেহাই পাননি সমাজের উপেক্ষা আর ঘৃণা থেকে, সেখানে পূর্ণিমা তো কোন ছার! তবে সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের কাজ করে গিয়েছেন পূর্ণিমা। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ করেছেন, তারপরে নিজের শহরেই ছোটো বাচ্চাদের গান শেখানোর একটা স্কুল খুলেছিলেন।
এখানেই থেমে থাকেনি পশুর দল, পূর্ণিমার নাম আর ছবি দিয়ে ভুয়া ফেসবুক একাউন্ট খোলা হয়েছে, সেই একাউন্ট থেকে অশ্লীল ছবি আর পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এগুলো নিয়েও বারবার বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে পূর্ণিমাকে। তার সহপাঠী বা কলিগরা এগুলো দেখে তার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছে, তার দিকে আঙুল তুলেছে। রাস্তায় চলতে পারতেন না পূর্ণিমা, তার ওপর হামলাও করেছে কেউ কেউ, চুলের মুঠি ধরে মেরেছে পূর্ণিমাকে, যেন ধর্ষিত হওয়াটা তার দোষ! এই তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথাও ভাবছিলেন পূর্ণিমা, বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
দেশের মানুষ পূর্ণিমাকে ভুলে গিয়েছিল, আর যারা মনে রেখেছিল তারাও ঘৃণাভরেই উচ্চারণ করত এই নামটা। এই দেশ, বাংলাদেশের মানুষজনের কাছে ভালো কিছুই পায়নি পূর্ণিমা, কখনো হয়তো খানিকটা সহানুভূতি মিলেছে। কিন্ত কেড়ে নিয়েছে তার সোনালি কৈশোর। তার জীবনটাকে নরকে পরিণত করে দিয়েছিল কিছু মানুষরূপী হায়েনা, সেই ধারাটা বজায় রেখেছে আমাদের সমাজ, সমাজে ভালোমানুষের মুখোশ পরে লুকিয়ে থাকা অজস্র হায়েনা। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে, সেই সময়ের মন্ত্রী তারানা হালিমের মাধ্যমে পূর্ণিমাকে ছোট্ট করে হলেও কিছু একটা দিতে পেরেছিল বাংলাদেশ! আর শেখ হাসিনা সেই শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু উদার কণ্ঠে বলেছিলেন- 'একাত্তরে নির্যাতিতা আমার সকল মেয়ের ঠিকানা লিখে দে ৩২ নম্বর। লিখে দে- তাদের পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান।' সেই চেতনা ও প্রত্যয় নিয়েই এগিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছিল, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করবে। সেই কাজ অনেকটাই এগিয়েছে দলটি। স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন এখন ২০৪১ সালকে ঘিরে।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আশা করছে, তার পূর্বেই তারা সেটা করতে পারবে। আমরা জানি যে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশকে আর গরিব দেশ বা আমেরিকার ভাষায় তলাবিহীন ঝুড়ি বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন আমরা বাংলা ভাই দেখি না, কোনো জঙ্গি তৎপরতা দেখি না, দেখি না ১০ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে ধরা পড়েছে কেউ। রাস্তায় এখন কোনো বিরোধী দলের ওপর হয় না গ্রেনেড হামলা। এই সরকার ধর্ম নিয়ে নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ভেঙে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির কালো হাত।
আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭১-এ যারা যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় এনেছে। এই বিচার কাজ করতে গিয়ে সরকারের অনেক চাপ সইতে হচ্ছে বিদেশি শক্তির কাছে। তবুও আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তৈরি করে এইসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছে সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশে কৃষিবান্ধব সরকার হিসেবে পরিচিত। কৃষিব্যবস্থায় পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ এখন এক অনন্য দেশ। কৃষিতে প্রচুর ভর্তুকি প্রদান করে, কৃষিব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ এক দেশ। শেখ হাসিনার উর্বর মস্তিষ্কের সার্থক প্রয়োগে আজ বাংলাদেশের কৃষক সোনার ফসল ফলিয়ে মুখে হাসি নিয়ে ঘরে ফেরে। বাংলাদেশে একসময় বিদ্যুতের খুঁটি ছিল, তাতে বিদ্যুৎ প্রবাহের তার ছিল না। এখন তাতে তার আছে, বিদ্যুৎও আছে। মানুষ আর অন্ধকার থাকে না। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় এদেশের যেকোনো সময়ের চেয়ে বহুগুণ বিদ্যুৎ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই আমরা জয় করেছি আমাদের সমুদ্রসীমা। বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশ পেয়েছে। ছিটমহলবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান খুব দ্রুতই সমাধান করা সম্ভব হয়েছে এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই। সংবাদমাধ্যমের মুক্ত বিকাশ ঘটেছে এই সরকারের সময়েই। বাংলাদেশে মিডিয়া এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।
বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার নতুন ৪৫টি টেলিভিশনসহ অনেকগুলো সংবাদপত্র, ৮০টিরও বেশি এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে। তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সাংবাদিক সহায়তা ভাতা বা অনুদান নীতিমালা অনুমোদন করেছে। শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নিবন্ধন কাজ এগিয়ে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের অনেক বীরাঙ্গনা মাকে এই সরকার সম্মানিত করেছেন। ‘আশ্রয়ণ’, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’, ‘ঘরে ফেরা কার্যক্রম’, ‘দুস্থভাতা’সহ ১২৮টি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্যক্রম থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সুবিধা পাচ্ছেন। প্রথম পর্যায়ের, ১ লাখ ২০ হাজার ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ৫৫ হাজার একর কৃষি জমি বিতরণ করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখেরও বেশি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন আরও ২২ হাজার ১০১টি পরিবারের মধ্যে ভূমিসহ সেমিপাকা ঘর হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আরও ১২টি জেলা গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত হলো। আর দেশের ২১টি জেলার সব উপজেলাসহ ৩৩৪টি উপজেলার সব ভূমিহীন-গৃহহীন পুনর্বাসিত হয়েছে। এর আগে দুই দফায় আরও ৯টি জেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একদিনে ১০০ সেতুর উদ্বোধন, ১০০ মহাসড়ক-সড়ক উদ্বোধন, একদিনে ১ কোটি মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা, পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রের বুকে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সুনীল অর্থনীতির নতুন দুয়ার উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ বিজয়, সাবমেরিন যুগে প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, পদ্মা রেলসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, মাথাপিছু আয় ২৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত, শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনাসহ বিশ্বকে চমকে দেয়ার মতো কাজগুলো করেছেন শেখ হাসিনা। এমন অনেক কাজ আছে, যা গ্রামে গ্রামান্তরের মানুষকে জানাতে হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে। আমরা দেখছি আজ প্রতিটি আসনেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ। তা প্রতিহত করতে হবে। এমপিদের কর্মবিবরণী মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে।
আজ যারা ১৯৭১-এর চেতনার বিপরীতে দাঁড়িয়ে যুদ্ধাপরাধী, দালাল, রাজাকারদের নেপথ্য এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইছেন- তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। আমরা চাই বাংলাদেশ একটি মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক, নতুন উজ্জীবনের প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যাক। আর এজন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা খুবই দরকারি। একই সাথে আজ যারা জ্বালাও-পোড়াও আর হরতালের ত্রাস সৃষ্টি করছে- রুখতে হবে ওদেরকেও।
ফকির ইলিয়াস: সাংবাদিক ও কলাম লেখক। 'আমেরিকান ইমেজ প্রেস'-এর সদস্য।
সংবাদটি শেয়ার করুন
মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
মতামত এর সর্বশেষ
![](/cache-images/news_photos/2024/07/27/resize-90x60x0image-360320.jpg)
সাংবাদিক হাসান মেহেদী হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই
![](/cache-images/news_photos/2024/07/26/resize-90x60x0image-360257.jpg)
সরকারকে নিজের ঘরের দিকেও তাকাতে হবে
![](/cache-images/news_photos/2024/07/24/resize-90x60x0image-360090.jpg)
সীমাহীন মূল্যে কেনা হলো কোটা-সংস্কারের দাবিসমূহ
![](/cache-images/news_photos/2024/07/18/resize-90x60x0image-359998.jpg)
সরকারি চাকরিতে কোটা-সংস্কার সময়েরই দাবি
![](/cache-images/news_photos/2024/07/17/resize-90x60x0image-359852.jpg)
কোটা ব্যবস্থার বিলোপ: পক্ষে ও বিপক্ষে বিতর্ক
![](/cache-images/news_photos/2024/07/16/resize-90x60x0image-359732-1721113634.jpg)
আন্দোলনকারীদের চোখে-মুখে ভয় আতঙ্ক জড়তা নেই
![](/cache-images/news_photos/2024/07/16/resize-90x60x0image-359730.jpg)
বসুন্ধরা পারলে কেন সিটি করপোরেশন পারবে না
![](/cache-images/news_photos/2024/07/16/resize-90x60x0image-359717.jpg)
শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্যদিয়েই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে
![](/cache-images/news_photos/2024/07/15/resize-90x60x0image-359595.jpg)
ট্রানজিট এবং বিএনপি’র ভারত বিরোধী কৌশল
![](/cache-images/news_photos/2024/07/14/resize-90x60x0image-359497.jpg)