উৎপাদন খরচ বাড়লেও আলু চাষে ঝুঁকছে কৃষক
বাজারে দিনদিন আলুর দাম বেড়েই চলছে। বর্তমানে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। এদিকে অধিক লাভের আশায় জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় কমবেশি আগাম আলু চাষে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। উপজেলায় এখনও আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ না হলেও অধিক লাভের আশায় চাষিরা তাদের আবাদি জমিগুলো ফেলে না রেখে মনের আনন্দে আলু চাষ শুরু করে দিয়েছেন। তবে দাম ও ফলন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন প্রান্তিক কৃষকসহ আলু চাষিরা।
কৃষকরা বলছেন, অন্য বছরের চেয়ে এ বছর আলু চাষে বিঘাপ্রতি উৎপাদন খরচ বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। কারণ হিসেবে কৃষি উপকরণসহ শ্রমিকের পাশাপাশি জমি লিজ ও সেচ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা বলেছেন। এতে এ বছর আলু চাষে বিঘাপ্রতি কৃষকের খরচ হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। গতবছর যা ছিল ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কালাই উপজেলার একটি পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হচ্ছে। তবে গতবছর ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। কৃষি অফিস বলছে, অন্য বছরের চেয়ে এ বছর আলু চাষের খরচ কিছুটা বাড়লেও প্রতি বিঘায় এ বছর আলু চাষে সর্বোচ্চ খরচ পড়বে ৪৮ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
উপজেলার তেলিহার গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এ বছর ১২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে তিনি আলু চাষ করছেন। সার কিনতে গিয়ে ডিলারদের দোকানে অনেক ঘুরেও সরকারি মূল্যে সার না পেয়ে বাধ্য হয়েই বেশি দামে সার কিনে আলু চাষ করতে হচ্ছে। ফলে প্রতি বিঘায় খরচ পড়বে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। তবুও তিনি অধিক লাভের আশায় আলু রোপণে ব্যস্ত।
উপজেলার মোসলেমগঞ্জ গ্রামের আলুচাষি খায়রুল ইসলাম জানান, এ বছর ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আলু চাষ করেছেন তিনি। প্রতি বিঘায় তার খরচ পড়বে ৪৮ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, জমি লিজের খরচসহ এ বছর প্রতি বিঘায় আলু চাষে কৃষকের সর্বোচ্চ খরচ পড়বে ৪৮ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্য বছরের চেয়ে এ বছর খরচ একটু বেশি হলেও আশা করা হচ্ছে ফলন ও দামে কৃষকের পুষিয়ে যাবে। কৃষকরা যাতে আলুর ভালো ফলন পান সেজন্য কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২৪ নভেম্বর/ইএইচ)