নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, নারী ইউপি সদস্যের হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, নীলফামারী
| আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:৩৯ | প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:০৯

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার দক্ষিণ চান্দখানা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক প্রামাণিক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেনের (ভোলা মেম্বার) বিরুদ্ধে ।

এ অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক প্রামাণিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে কেতকি বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য জেবুন্নেছা বেগমের বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার দৃশ্য দেখে পরীক্ষা স্থগিত না করেই কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছেন ডোমার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাকেরিনা বেগম ও ডিজি প্রতিনিধি সাহেনা বেগম।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার সময় দক্ষিণ চান্দখানা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী,পরিচ্ছন্নতাকর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক পদে ৪১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অনিয়ম, আত্মীয় করণ ও প্রতিটি পদের বিপরীতে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তারা।

তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জেবুন্নেছা বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে মোছাম্মৎ রত্না আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এখন তাকে নিয়োগ না দিয়ে সভাপতির মেয়ে ও নাতিকে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন।

পরীক্ষার্থী রত্না আক্তারের অভিযোগ অস্বীকার করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান, স্বচ্ছতা বজায় রেখে পরীক্ষায় যে উত্তীর্ণ হবে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক প্রামাণিক জানান সকলের সামনে আমাকে ইউপি সদস্য জেবুন্নেছা বেগম লাঞ্ছিত করেছেন। ইউপি সদস্য নিয়োগ পরীক্ষা বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক।

ইউপি সদস্যের হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম মুঠোফোনে বলেন, বিশৃঙ্খলার কারণে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার পরিবেশ ছিল না। তাই আমরা চলে এসেছি। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে অফিসে ডেকে এনে পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম ঢাকা টাইমসকে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মো. সাইফুর রহমান ঢাকা টাইমসকে জানান, একজন জনপ্রতিনিধি কোনোভাবেই এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :