কেন্দুয়ায় জমে উঠেছে মৌসুমি পিঠার দোকান

​​​​​​​কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৬ | প্রকাশিত : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪১

শীত এলেই দেখা মেলে হরেক রকম মুখরোচক পিঠার। এর মধ্যে অন্যতম ভাপা ও চিতই পিঠা। শীত মৌসুম শুরু হলেই ধুম পড়ে যায় এসব পিঠা খাওয়ার। গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে সকালের নাস্তা হয়ে ওঠে এসব পিঠা। বাদ যায় না শহর ও নগর-মহানগর। গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নামার সঙ্গে সঙ্গে মৌসুমি পিঠা বিক্রেতারা ফুটপাতে শুরু করে পিঠা বানানোর আয়োজন।

সারা দেশের এ চিত্রই যেন ফুটে উঠেছে নেত্রকোণার কেন্দুয়ায়।

উপজেলা সদরের সাজিঊড়া মোড়, থানা মোড়, সাউদপাড়া মোড়, বাসস্ট্যান্ড মোড়সহ উপজেলা সদরের ফুটপাতে দেখা মিলছে এসব পিঠা দোকানের। আর এই পেশার সঙ্গে জড়িয়ে অনেকে সংসারের অভাব দূর করছেন।

সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভাপা পিঠা, ঝাল পিঠা, তেলের পিঠা, সাদা পিঠা আর চিতই পিঠা বানানো হচ্ছে। এই পিঠার প্রতি মানুষের আগ্রহও বেশি। ইতোমধ্যে জমে উঠেছে পিঠার বাজার। বিশেষ করে সন্ধ্যার সময় এই পিঠার চাহিদা বেশি থাকে।

কেন্দুয়ার থানা মোড় এলাকায় প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করেন সালমা আক্তার। স্বামী এবং সন্তানদের নিয়ে জীবন যুদ্ধে একাই লড়ে যাচ্ছেন তিনি। সংসারের হাল ধরতেই যুক্ত হয়েছেন এ ব্যবসায়। বছরের ছয় মাস পিঠা বিক্রি করেন। বাকি ছয় মাস বাড়িতে থেকে কষ্ট করে চলে সালমার সংসার।

তিনি বলেন, ‘ আমার স্বামী অটোরিকশা চালক আর আমি পিঠা বিক্রি করে ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার খরচ বহন করছি ‘ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সালমার মতো অনেকেই শীতের পিঠা বিক্রি করে সংসারের অভাব দূর করছেন। তেমন একটা পুঁজি লাগে না। সহজেই এ ব্যবসা শুরু করা যায়। ফলে অনেকেই পিঠা বিক্রিকেই মৌসুমি ব্যবসা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ।

পিঠা প্রেমী মামুন এবং সাকি বলেন, শীত মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম। তবে সেই পিঠা যদি হয় ভাপা পিঠা তাহলে তো কোনো কথাই নেই। নিজেকে রিফ্রেশ করার জন্য দিনের শেষে বন্ধুদের নিয়ে ভাপা পিঠা খেতে আসি। এতে করে সবার মাঝে ভালো লাগা কাজ করে। ভোজন রসিকদের মতে শীতে যত রকম পিঠাই তৈরি হোক, ভাপা পিঠার সঙ্গে অন্য কোনো পিঠার তুলনা হয় না।

পিঠা তৈরির প্রক্রিয়া:

মাটির পাতিলে পানি ভরে মুখ লেপে ছোট করে পাতলা কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে দেওয়া হয়। পরে পাতিলটিকে ছোট্ট চুলায় চড়িয়ে দেওয়া হয়। পানি গরম হলে ছোট্ট বাটির মাধ্যমে চালের গুড়ার চাক বানিয়ে পাতিলের মুখে কাপড়ের উপর দেওয়া হয়। আগুনের তাপে পানির বাষ্প উঠে তৈরি হয় ভাপা পিঠা। পরে ওই পিঠার উপর গুড় দিয়ে ক্রেতাদের পরিবেশন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/০৪জানুয়ারি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :