পঞ্চগড়ে শীতের প্রভাব
শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে জেলার শিশু শিক্ষার্থীরা। কনকনে শীতেও স্কুল খোলা থাকায় কাকডাকা ভোরে উঠতে হচ্ছে তাদের। ফলে আক্রান্ত হচ্ছে জর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়াসহ নানান শীতজনিত রোগে। হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। রোগীর চাপ সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
জানা যায়, ১০০ শয্যার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের ২২ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছে শয্যা সংখ্যার ৩ থেকে ৫ গুণ শিশু।
বুধবার সকালে ২২শয্যার শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ৬২ শিশুটি শিশু ভর্তি আছে ও ওয়ার্ডে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় থাকতে হচ্ছে অনেককে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের পরিচালক ডা. রাজিউর রহমান রাজু বলেন, বর্তমানে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক শিশু হাসপাতালে আসছে। আমরা তাদেরকে সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এদিকে বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। মঙ্গলবারও একই ছিল তাপমাত্রা। ফলে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে জনজীবনে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না অধিকাংশ মানুষ। প্রতিদিন সন্ধ্যা হতে না হতেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যস্ততম শহরসহ সড়ক মহাসড়ক।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি। এই পরিস্থিতি আরও দুই তিন দিন থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)।

মন্তব্য করুন