কুড়িগ্রামে সংকটাপন্ন তিন তক্ষক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫

কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়ন থেকে তিনটি সংকটাপন্ন প্রজাতির তক্ষক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় তক্ষক বেচাকেনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার ভোরে কচাকাটা থানাধীন বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বলদিয়া পালপাড়া গ্রামের মনির উদ্দিনের বাড়ি থেকে তক্ষকগুলো উদ্ধার করা হয়।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশ্বদেব রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোরশেদ রহমান (৩২), বিষ্ণপুর গ্রামের কাশেম (৩৬), মোজাম্মেল (৪৮), রিয়াজুল ইসলাম (৪৫) ও বড় ছড়ারপার গ্রামের শাহ আলমকে (৪৫)।
পুলিশ জানায়, বুধবার ভোরে কচাকাটা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বলদিয়া পালপাড়া গ্রামের মনির উদ্দিনের বসত ঘর থেকে তিনটি তক্ষক উদ্ধার করে। এসময় তক্ষক বেচাকেনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং কয়েকজন পালিয়ে যায়।
আসামিদের বরাতে পুলিশ আরও জানায়, উদ্ধারকৃত তক্ষকগুলো ভারত থেকে সীমান্ত পথে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। মানুষকে বিভিন্নভাবে প্রতারিত করার উদ্দেশে এগুলো ক্রয়-বিক্রয়ের প্রস্তুতি চলছিল।
এ বিষয়ে বিকালে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, উদ্ধারকৃত তক্ষক বন্যপ্রাণী অধিদপ্তরের কুড়িগ্রামের ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তক্ষক নিয়ে বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা বলেন, বাংলাদেশের লাল তালিকা ২০১৫ অনুযায়ী তক্ষক শিকার কম উদ্বেগের। কিন্তু বৈশ্বিক লাল তালিকা অনুযায়ী প্রায় সংকটাপন্ন।
জোহরা মিলা আরেও বলেন, তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোক রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে উৎসাহিত হচ্ছে। এছাড়া তক্ষক দ্বারা তৈরি বিভিন্ন ওষুধের উপকারিতা নিয়ে যা শোনা যায়, বৈজ্ঞানিকভাবে তার কোনো ভিত্তি নেই। এই গুজবটির কারণেই মূলত ধরে আনা তক্ষক উদ্ধার করা হচ্ছে এবং প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হচ্ছে।
(ঢাকা টাইমস/১৭জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এসএ)

মন্তব্য করুন