পাথরঘাটায় মাদরাসার কর্মচারী নিয়োগে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৫

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের উজির আলী দাখিল মাদরাসার দপ্তরি ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য একাধিক লোকের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ডিজির প্রতিনিধি ও মাদরাসার সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে। আর এ ঘুস বাণিজ্যে সহায়তা করেছেন মাদরাসার শিক্ষক কারী মহিউদ্দিন। এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক চাকরি প্রার্থী।

জানা যায়, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় পাথরঘাটা মহাবিদ্যালয়ে ডিজি ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতি নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়‌। পরীক্ষা শুরুর আগেই চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ডিজি ও মাদরাসা সভাপতির নাম ভাঙিয়ে ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শিক্ষক মোকাররম ও কারী মহিউদ্দিন। এছাড়াও চাকরি নিশ্চিত করতে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান অভিযুক্তরা।

বিষয়টি নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর আগে জানাজানি হলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন পরীক্ষা স্থগিত করতে বলে বরগুনা চলে যান। কিন্তু ডিজির প্রতিনিধি ও মাদরাসার সভাপতি নিয়োগের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চাকরিপ্রার্থী জানান, মাদরাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার মোকাররম ও কারী মহিউদ্দিন তাদের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে ডিজি ও সভাপতিকে ম্যানেজ করতে টাকা নিয়েছে। মাদরাসার সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা। আমরা যদি নাম প্রকাশ করি তাহলে আমাদের সমস্যা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে ডিজির প্রতিনিধি বেনজির আহমেদ, মাদরাসার সভাপতি ও পাথরঘাটা উপজেলা আলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রিপনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে নিয়োগ দেই তারপর কথা বলবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনজির আহমেদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাওলানা মোকাররমকে মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি ফোন কেটে দেন।

জানতে চাইলে বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, আমি অনিয়ম দেখে নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে চলে এসেছি। এ ব্যাপারে আমাকে ফোন না করে ওখানে (ডিজির প্রতিনিধির সাথে) কথা বলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/ ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :